SciTech

পৌরাণিক নয়, সরস্বতী নদী সত্যিই বইছে, মেটাচ্ছে তৃষ্ণা, হচ্ছে চাষ

সরস্বতী নদীর অস্তিত্ব রয়েছে। তা বয়ে গেছে মিষ্টি জলের ভাণ্ডার নিয়ে। সেই জল দিয়ে শুকনো মরুর বুকে হচ্ছে চাষও। তেষ্টাও মেটাচ্ছে বহু মানুষের।

Published by
News Desk

ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান করার সময় গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর কথা বলা হয়। তবে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করার সময় কিন্তু সরস্বতীকে দেখা যায়না।

এমনও বহুকাল ধরে কথিত ছিল যে সরস্বতী অন্তঃসলিলা হয়ে বয়ে গেছে। অনেকেই মনে করতেন সরস্বতীকে তো দেখা যায়না। এটা একটা পৌরাণিক নদী ছাড়া আর কিছু নয়। ফলে উঠত অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন।

শত শত বছর ধরে কিন্তু সরস্বতীর চিহ্নও ছিলনা। তবে এখন সরস্বতী নদীর খোঁজ মিলেছে। যা শুকনো মরুর বুকে মিষ্টি জলের স্পর্শ নিয়ে হাজির হয়েছে।

শুকনো প্রান্তরে চাষাবাদের জলের যোগান দিচ্ছে। বহু মানুষের তৃষ্ণা মেটানোর কষ্ট দূর করেছে। দূর করেছে ভারতীয় সেনার একাংশের তৃষ্ণা যন্ত্রণাও।

রাজস্থানের পশ্চিম প্রান্ত বড়ই শুকনো, মরু প্রান্তরে ভরা। সেখানে এখন সবুজের ছোঁয়া দিয়েছে এই সরস্বতী নদীর জল। বৈদিক সরস্বতী রিভার রিসার্চ সেন্টার সরস্বতীকে খুঁজে বার করার অনেকদিন ধরে চেষ্টা চালায়। অবশেষে রাজস্থানের জয়সলমীরের কাছে তারা ২০টি কুয়ো খনন করে।

৪০ থেকে ৬০ মিটার পর্যন্ত গভীরে খনন করা হয়। সেই পর্যন্ত খননের পর সকলে অবাক হয়ে যান যে সেখানে রয়েছে প্রচুর মিষ্টি জল। সেই জলের খোঁজ একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে মেলে।

ফলে স্থানীয়দের এবং ওখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানদের বহু দূর থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করে আনার কষ্ট লাঘব হয়। ওই মিষ্টি জল তাঁদের পানীয় জলের সমস্যা মিটিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, ওই জল দিয়ে শুরু হয় চাষাবাদ।

যেখানে শুকনো প্রান্তরে দূরদূরান্ত পর্যন্ত সবুজের দেখা মিলতনা, সেখানে আড়াইশো বিঘা জমিতে এখন দারুণ ফসল ফলছে। গবেষকেরা এখন জানাচ্ছেন, সরস্বতী নদী কোনওদিনই শুকিয়ে যায়নি। কেবল তা তার গতিপথ পরিবর্তিত করে এবং মাটির তলায় চলে যায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk

Recent Posts