সাধন পাণ্ডে, ছবি - আইএএনএস
বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। রবিবার মুম্বইতে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
সেই ১৯৮৫ সাল থেকে তিনি ছিলেন একটানা বিধানসভার সদস্য। বিধায়ক হিসাবে প্রথমবার বিধানসভায় প্রবেশ করেন বড়তলা কেন্দ্র থেকে ১৯৮৫ সালে জয়ের পর। তারপর থেকে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত কখনও পরাজয়ের মুখ দেখেননি সাধনবাবু। জীবনে একবারও না হারা বিধায়ক থেকে রেকর্ড গড়েই চলে গেলেন তিনি।
প্রথম জীবনে বড়তলা কেন্দ্র থেকে জিতলেও শেষে মানিকতলা কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতেন তিনি। সেখানেও একইভাবে জয় পান সাধন পাণ্ডে।
তিনি ছিলেন রাজ্যের উপভোক্তা বিষয় মন্ত্রীও। তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। রবিবার নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয় তাঁর মৃত্যুতে সোমবার রাজ্যে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। দুপুর ২টোর পর রাজ্যের সব সরকারি অফিস, স্কুল, পুরসভা, সর্বত্র ছুটি হয়ে যাবে।
রবিবার রাতেই তাঁর দেহ কলকাতায় আসার পর সোমবার বেলায় তাঁর দেহ আনা হবে বিধানসভায়। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর পর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর উত্তর কলকাতার বাসভবনে।
সেখান থেকে নিমতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। রাজ্যের বর্ষীয়ান ও দাপুটে রাজনৈতিক নেতা তথা মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কিছুদিন আগে জীবনাবসান হয়েছে। এবার চলে গেলেন বর্ষীয়ান নেতা সাধন পাণ্ডে।