World

সসেজে কামড় দিয়ে আড়াই কোটির গাড়িতে আগুন

খুব ভোগাচ্ছিল গাড়িটা। আড়াই কোটি টাকা খরচ করে কেনা গাড়ি নিয়ে এত ভুগতে হওয়ায় বিরক্তি চরমে উঠেছিল। রাগে গাড়িটাই পুড়িয়ে দিলেন মালিক।

Published by
News Desk

মধ্যযুগের কলকাতায় যেসব বাবু ছিলেন তাঁদের একজন ছিলেন কালীপ্রসন্ন সিংহ। আর বাবুদের শখ আল্লাদের কথা তো মুখে মুখে ঘোরা কাহিনি হয়ে আছে।

তো শোনা যায় সেই কালীপ্রসন্ন সিংহ সেই সময়ে একশো টাকার নোট পাকিয়ে সিগারেট খেতেন। তাঁর সেই বহুমূল্য বাবুয়ানার কথা শুনে আজও অনেকে চোখ কপালে তোলেন।

কিন্তু বাবুয়ানা যে অর্থবানদের জন্য বিশ্বের সব প্রান্তেই কম বেশি এক রকম, তা ফের একবার প্রমাণ হল। না হলে কেউ সাধ করে আড়াই কোটি টাকা খরচ করে কেনা মার্সিডিজ গাড়ি পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দিতে পারেন!

এমনই এক ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছে বিশ্বজুড়ে। রাশিয়ার মিখাইল লিটভিন মার্সিডিজটি কেনার কিছুদিন পর থেকেই তা বেগ দিতে শুরু করে। সার্ভিস সেন্টারে পাঠানো হয়। সমস্যা কিছুদিনের জন্য মেটে। তারপর যে কে সেই।

এভাবে বেশ কয়েকবার গাড়িটি সারানোর চেষ্টা চালান মিখাইল। কিন্তু গাড়ি কিছুদিন ঠিক তো কিছুদিন পরেই ফের সমস্যা শুরু। অবশেষে গাড়ির প্রতি বিরক্ত হয়ে সেটিকে নিয়ে মিখাইল হাজির হন একটি খোলা মাঠের মাঝখানে।

মাঠের মাঝে গাড়িটি দাঁড় করিয়ে গাড়িতে করেই আনা বেশ কয়েকটা পেট্রোলের জার বার করে পেট্রোল ঢেলে দেন গাড়িতে। বেশ ভাল করে গোটা গাড়িটা পেট্রোলে ভিজিয়ে দেন তিনি। তারপর সেখান থেকে মাঠের বেশ কিছুটা দূর পর্যন্ত পেট্রোল ছড়িয়ে দেন।

এবার গাড়ি থেকে অনেকটা দূরে এসে তিনি সসেজ খেতে আরম্ভ করেন। খেতে খেতেই হাতে তুলে নেন লাইটার। তারপর পিছনে না দেখেই মাঠের যেখান পর্যন্ত পেট্রোল ঢালা ছিল সেখানে সেটি ছুঁড়ে দেন। কিন্তু আগুন জ্বলেনি। অগত্যা কাছে গিয়ে লাইটার ফের জ্বালিয়ে পেট্রোল ছেটানো শুকনো ঘাসে ছুঁড়ে দেন।

এবার আগুন জ্বলে। তারপর তা খুব দ্রুত পৌঁছে যায় গাড়ি পর্যন্ত। গাড়টি নিমেষে জ্বলে ওঠে। সসেজ খেতে খেতে তা দেখে তারপর কাছেই দাঁড়ানো একটি সবুজ গাড়িতে চড়ে বসেন মিখাইল।

সে গাড়ি আবার স্টার্ট নিচ্ছিল না। আশপাশের কয়েকজন যুবক ধাক্কা দিয়ে তা স্টার্ট করতে সাহায্য করেন। মিখাইল ওই গাড়ি চালিয়ে সেখান থেকে চলে যান। পিছনে তখন জ্বলছে তাঁর আড়াই কোটির মার্সিডিজ।

ইউটিউবার মিখাইল তাঁর এই গাড়ি পোড়ানোর পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য আগে থেকেই নানা অ্যাঙ্গেল থেকে ক্যামেরা তৈরি রেখেছিলেন।

এমনকি আকাশ থেকে ছবির জন্য ড্রোন ক্যামেরাও ব্যবহার করেন। তারপর পুরো ঘটনার ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে দেন। যা হুহু করে এখন ছড়াচ্ছে গোটা বিশ্বে।

Share
Published by
News Desk
Tags: Russia

Recent Posts