World

পারদ নামল মাইনাস ৬৭°-তে, চোখের পাতাতেও জমল বরফ

Published by
News Desk

তাপমাত্রা মাইনাস ৬৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাতে কী! কাজকর্ম, বাজারহাট যেমন চলার তেমনই চলছে। তবে পুলিশের তরফ থেকে বাচ্চাদের এই ঠান্ডায় স্কুলে পাঠাতে নিষেধ করা হয়েছে। এখানে মাইনাস ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও প্রত্যেক দিন নিয়ম মেনেই স্কুল করে বাচ্চারা। অফিসে কাজ হয়। খোলা থাকে দোকান বাজার। পরিবার নিয়ে ছুটির দিনে ছুটি কাটানোও চলে। ১২ ডিগ্রি তাপমাত্রার এখনকার কলকাতা ওখানকার মানুষের কাছে গা জ্বালানো জ্যৈষ্ঠের গ্রীষ্মকালের মতন।

রাশিয়ার ইয়াকুতিয়া এলাকা। বিশ্বের শীতলতম মানববসতি হিসাবে ধরা হয় এই জায়গাকে। ২০১৩ সালে এখানে পারদ পৌঁছেছিল মাইনাস ৭১ ডিগ্রিতে। সেই রেকর্ড এখনও অধরা। তবে তার থেকে মাত্র ৪ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে গত মঙ্গলবার। পারদ ছুঁয়েছে মাইনাস ৬৭ ডিগ্রি। গোটা এলাকাই সাদা জমাট বরফে ঢাকা পড়েছে। মানুষের চোখের পাতা পর্যন্ত বরফে ঢেকে গেছে। মাইনাস ৬৭ ডিগ্রি সহজে লেখা বা বলা যায়। কিন্তু সেখানে বসবাস করা যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা কল্পনা করার চেষ্টা চলতে পারে, কিন্তু বোঝা অসম্ভব। সেখানেই ১০ লক্ষ মানুষের বাস। তাঁরা এরমধ্যেই স্বাভাবিক জীবন কাটান। গরম বাড়েও। তবে মাইনাস সহজে প্লাসে যায়না।

সারা বছরই এই শীতল প্রদেশে থাকতে থাকতে এর সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন সকলে। দিব্যি এই ঠান্ডাতেই জীবনের সব কাজ নিয়ম করে চালিয়ে যান তাঁরা। আনন্দও করেন। সেলফিও তোলেন। যেমন মাইনাস ৬৭ ডিগ্রিতে সেলফি তোলার হিড়িক পড়েছে সেখানে। সেলফি তুলে কার চোখের পাতায় কত বরফ জমাট বাঁধল তার ছবি পোস্ট করে চলেছেন সেখানকার মানুষ। এই ঠান্ডা আনন্দে খামতি নয়, বরং জীবনের খুশি যেন বাড়িয়ে দিয়েছে তাঁদের।

Share
Published by
News Desk