National

প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজধানীর রাজপথে বাংলার সবুজ সাথী

দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবস এবার করোনা আবহে পালিত হল অনেক ছোট করে। সেই কুচকাওয়াজে দেখা মিলল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রকল্প সবুজ সাথী-র।

নয়াদিল্লি : দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবস প্রতি বছর যে জাঁকজমকে পালিত হয়ে থাকে তা এবার পালিত হল না। বরং করোনার কথা মাথায় রেখে অনেক কাটছাঁট করা হল পুরো অনুষ্ঠানে।

কোনও প্রধান অতিথিও এবার ছিলেননা। কথা ছিল প্রজাতন্ত্র দিবসে এবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন থাকবেন। কিন্তু তাঁর দেশে করোনা পরিস্থিতি ফের জটিল আকার নেওয়ায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পারবেননা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এদিন অনুষ্ঠানে কাটছাঁট হলেও অমর জওয়ান জ্যোতিতে মাল্যদান থেকে শুরু করে অন্য নিয়ম প্রথামতই পালিত হয়েছে। কাটছাঁট হয়েছে কুচকাওয়াজে। সেখানে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের ব্যাটেলিয়ন যেমন কম দেখা গিয়েছে, তেমনই অস্ত্র সম্ভারের প্রদর্শনও ছিল কম।

তবে এবার ভারতীয় বায়ু সেনার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে আসা রাফাল বিমানকে সামনে আনা হয়। আনা হয়েছিল ব্রহ্মস-এর মত ক্ষেপণাস্ত্রকেও। জায়গা পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারতের ভাবনা।

বিভিন্ন রাজ্যের সুসজ্জিত ট্যাবলো প্রতি বছরই প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে থাকে। এবারও তা হয়েছে। গত বছর পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোর জায়গা হয়নি প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে। এবার অবশ্য হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো তুলে ধরেছে রাজ্যের সবুজ সাথী প্রকল্পকে। হাতে সাইকেল নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেয় ট্যাবলোয়। ট্যাবলোর শেষ অংশে ছিল বেশ কিছু বই এবং তার ওপর একটি ঝর্ণাকলমের নিব। যার মধ্যে দিয়ে পড়াশোনার শক্তিকে তুলে ধরা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, সিকিম, অসমের মত বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলোয় তুলে ধরা হয় সেই রাজ্যের নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। শেষে ছিল রাজপথেই সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সেখানেও কলকাতার একটি দল চোখ জুড়নো নৃত্যের স্বাক্ষর রাখে। প্রথা মেনেই এদিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ অনেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে ১৫ বছরের নিচে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। দর্শক আসনও ছিল সীমিত। অতিথিদের আসনের মধ্যেও ছিল দূরত্ব। করোনা বিধি মেনেই পুরো আয়োজন করা হয়েছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More