ফাইল : লালকেল্লা, ছবি - আইএএনএস
লালকেল্লায় প্রবেশ করতে পারবেন না সাধারণ মানুষ। হতে পারে লালকেল্লায় এই তালা পরা দীর্ঘ সময়ের জন্য নয়। কিন্তু এই পরিস্থিতিই বা সাধারণ সময়ে কতজন দেখেছেন! সেটাই এবার দেখতে হল।
দিল্লির লালকেল্লার দরজা সাধারণের জন্য বন্ধ করে দিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবার অর্ধেক দিবসের পর শুক্রবারও পুরোদিন বন্ধ থাকবে কেল্লার দরজা। সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। এই সময়সীমা বাড়বে কিনা তা এখনও জানায়নি এএসআই। কিন্তু কেন এমন পদক্ষেপ?
লালকেল্লার পিছনের দিকেই চলে এসেছে বন্যার জল। যমুনার জল যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে আর ঝুঁকি নিতে চায়নি এএসআই। দিল্লি জুড়ে এখন এক চরম পরিস্থিতি। দিল্লির অনেকটা অংশ জলের তলায় চলে গেছে। যমুনা এখন অতি ভয়ংকর রূপ ধারণ করে ফুঁসছে।
দিল্লির অনেক মানুষ ঘরছাড়া। বাড়িতে গৃহবন্দি শহরের সিংহভাগ। এই পরিস্থিতিতে এএসআই লালকেল্লা শুক্রবারও সাধারণের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দিল্লির একে বানভাসি পরিস্থিতি। শহরবাসী গৃহবন্দি। তারমধ্যে তাঁদের চিন্তার ভাঁজ আরও পুরু করে জানানো হয়েছে আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরবাসীকে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগতে হবে।
সব মিলিয়ে এক দুর্বিষহ পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন দিল্লিবাসী। এমন বানভাসি শহরে যে তাঁদের দিন কাটাতে হবে তা হয়তো অনেকে কল্পনাও করতে পারেননি। যমুনা প্রতিবছরই ফুলে ফেঁপে ওঠে। কিন্তু এবার তার চেহারা সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। একটাই বেড়েছে যমুনার জলস্তর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা