পুরীর রথযাত্রায় শ্রী জগন্নাথদেব, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
রথযাত্রায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জগন্নাথ-ভোগের কথা। প্রভু জগন্নাথ রথে উঠে গুণ্ডিচা মন্দিরে যাওয়ার সময় পথে যে সব ভোগ দেয়া হয় তাকে দাণ্ডপন্তি ভোগ বলে। ওড়িয়া ভাষায় ‘দাণ্ড’ শব্দে ‘পথ’ আর পন্তিভোগ বলতে ‘দূর থেকে ভোগ’ বোঝায়।
রথের দিন সকালে ‘সকাল-ধূপ’ খিচুড়িভোগ খেয়ে জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রা রথে ওঠেন ‘পহাণ্ডী বিজয়’ করে। রথে অবস্থানের পর নির্দিষ্ট সময় অনুসারে একে একে দ্বিপ্রহর ধূপ, সন্ধ্যা ধূপ ও বড় শৃঙ্গার ধূপ হয়ে থাকে।
জগন্নাথদেবের এই সব ধূপ তথা ভোগে নি-সকড়ি বা গমের তৈরি দ্রব্যেরই ভোগ হয়। চালের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি কোনও দ্রব্যের ভোগ দেয়া হয় না।
প্রথমে নিবেদিত হয় কোঠভোগে মরিচনাড়ু, অমালু, মনোহর, টাকুয়া, কাকরা, চড়েই-নদা ইত্যাদি। এরপর বিভিন্ন মঠপ্রদত্ত ছত্রভোগের পরিবর্তে দেয়া হয় ফলমূলাদি শীতলভোগ। রথে অবস্থানকালে বিগ্রহদের বহু ‘দর্শনী ভোগ’ হয়ে থাকে।