ফাইল : রজনীকান্ত, ছবি - আইএএনএস
তিনি মেগাস্টার রজনীকান্তের পরম বন্ধু। সবচেয়ে কাছের বন্ধু। এখনও রজনীকান্তের কোনও সিনেমা মুক্তি পেলে তিনি প্রথমেই তা দেখতে যেতে বাধ্য হন। কারণ রজনীকান্ত তাঁকে ফোন করে সিনেমা দেখতে বলেন। আর সিনেমা দেখার পর জানতে চান তাঁর মতামত।
রজনীকান্ত মনে করেন তাঁকে তোষামোদ করতে সিনেমায় তাঁর অভিনয়ে কোনও ভুল থাকলে কেউ বলতে চান না। রজনীকান্তের ভুল হয়েছে বলার সাহস দেখান না কেউ। কিন্তু এই মানুষটি কোনও ভয় না পেয়ে সোজা কথা সোজা করে বলে দেন।
যেমন এক বন্ধু অন্য বন্ধুকে কোনও সংকোচ না রেখে সমালোচনা করার হলে করতে পারেন তেমনই। আর সেটাই শুনতে চান রজনীকান্ত। তাতে তিনি বুঝতে পারেন সাধারণ দর্শকের চোখে তাঁর দিক থেকে কি ভুল নজর কাড়ছে।
এই বন্ধুত্ব কিন্তু ৫৩ বছর ধরে অটুট। বেঙ্গালুরু নিবাসী রাজ বাহাদুর এখনও রজনীকান্তের পরম বন্ধু। বন্ধুত্ব হল কীভাবে? সকলেই জানেন রজনীকান্ত প্রথম জীবনে বাসের কন্ডাক্টরের চাকরি করতেন। সেই সময় তিনি যে বাসের কন্ডাক্টর ছিলেন, সেই বাসের চালক ছিলেন রাজ বাহাদুর।
সেই সময় এক বাস চালক ও কন্ডাক্টরের মধ্যে যে নিবিড় বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল, রজনীকান্ত সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছনোর পরও তা অটুট রয়েছে। রাজ বাহাদুরকে এখনও তাঁর বন্ধুর অনুরোধে প্রথম দিনেই সিনেমা হলে হাজির হতে হয়। সিনেমা দেখে মতামত জানাতে হয়।
রজনীকান্তের ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কথাই রাজ বাহাদুর জানেন। এখনও রজনী অনেক কাছের মানুষের সঙ্গে যা ভাগ করেন না, তা তাঁর পরম বন্ধু রাজ বাহাদুরের সঙ্গে ভাগ করে নেন। রাজ বাহাদুর নিজেই সেকথা জানিয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা