World

ড্রাকুলাদের কবরখানা থেকে পাওয়া গেল ৪০০ বছর পুরনো মহিলার করোটি

সপ্তদশ শতাব্দী বা সেই সময় ইউরোপে রক্তচোষা বাদুড় হিসাবে দেখা হত কিছু মানুষকে। নেহাতই ভয় থেকে সন্দেহজনকদের জন্য কবরখানাও আলাদা করা হয়েছিল।

Published by
News Desk

এখন থেকে ৪০০-৫০০ বছর আগে ইউরোপে মানুষের মধ্যে একটা ভয় কাজ করত। কিছু মানুষকে তাঁরা রক্তচোষা বাদুড় বা ভ্যাম্পায়ার মনে করতেন। যাকে মানুষ ড্রাকুলা নামে সহজে চেনে।

এদের একটি বা ২টি দাঁত অন্য দাঁতের চেয়ে আলাদা হত। সেটি অনেক বড় হত। অনেক সময় ছুঁচলোও হত। এখনও বহু মানুষের দাঁত অনেকটা এমন হয়ে থাকে।

এমন দাঁত থাকলে মানুষ ভয় পেতেন যে এরা ওই দাঁত দিয়ে রক্তচুষে নেয়। তাই তাদের শুধু শেষই করা হতনা, তারা যাতে কবর থেকে জেগে না উঠতে পারে সেজন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হত। তাদের জন্য কবরখানাও ছিল আলাদা। এমনই একটি কবরখানার হদিশ প্রত্নতাত্ত্বিকরা পেয়েছেন পোল্যান্ডে।

পোল্যান্ডের ওই কবরখানায় খনন চালিয়ে এক মহিলার দেহ পাওয়া গিয়েছে। যার দেহ থেকে মুণ্ড আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল। যাতে মৃত্যুর পর কবর থেকে ওই মহিলা উঠে না আসতে পারে সেজন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

যে কাস্তে জাতীয় ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কাটা হয় সেটি গলার কাছে গেঁথে রাখা হয়েছিল। বাকি দেহটি আলাদা। মহিলার স্তন ২টিকে একটি তালা দিয়ে রাখা হয়েছিল।

মহিলার যে করোটি উদ্ধার হয়েছে সেটি পরীক্ষা করে গবেষকেরা দেখেন তার দাঁতের সারির একটি দাঁত অনেকটা বড়। তাঁরা মনে করছেন ওই দাঁতের জন্যই তাকে ভ্যাম্পায়ার ভেবেছিলেন মানুষজন। প্রসঙ্গত এখনও ভারতে ডাইনি অপবাদ দিয়ে বিভিন্ন ঘটনা ঘটে।

Share
Published by
News Desk
Tags: Poland

Recent Posts