World

বুকের মধ্যে আগুন জ্বলছে, ভূতের এই শহরে এখন আর মানুষ থাকেন না

একটি শহর রয়েছে। রাস্তাঘাট রয়েছে। বাড়িঘর রয়েছে। এমনকি স্কুল, কলেজ, অফিসও রয়েছে। কিন্তু সেখানে আর মানুষের দেখা মেলেনা। যার কারণ লুকিয়ে আছে শহরের মাটির তলায়।

একটা বিশাল শহর এখন একা পড়ে থাকে। দেখে মনে হবে ভূতের শহর। মানব বর্জিত শহর। বাড়িঘর সবই রয়েছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিসও রয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনও মানুষের দেখা মেলেনা।

রাস্তা রয়েছে। কিন্তু সেখানে গাড়ি চলেনা। মানুষ ঘোরে না। একটা শহর কিন্তু শহর নয়। এ শহরে কিন্তু ২ হাজার মানুষের বাস ছিল ৫০-এর দশকেও। শহরের আশপাশে বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে কয়লাখনি।

এই কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন ১৯৬০ সাল পর্যন্ত জোরকদমে চলেছে। ১৯৬২ সালে এক জায়গায় জঞ্জাল পোড়ানোর কাজ চলছিল। সেটাই এ শহরের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়।

জঞ্জাল পোড়ানোর আগুন কোনওভাবে মাটির তলায় থাকা পরিত্যক্ত কয়লাখনি পর্যন্ত পৌঁছে যায়। যেখানে থাকা অবশিষ্ট কয়লায় আগুন ধরে যায়। শুরু হয় শহরের মাটির তলায় আগুন জ্বলা।

আমেরিকার পেনসিলভানিয়ার কলম্বিয়া কাউন্টিতে রয়েছে সেন্ট্রালিয়া নামে এই শহর। সেই শহরের মাটির তলা সেই ১৯৬২ সাল থেকে জ্বলছে। বিশেষজ্ঞদের একটি মত জানাচ্ছে এই আগুন ২৫০ বছর ধরে জ্বলতে পারে।

মাটির তলা জ্বলতে থাকা এ শহর ছেড়ে তাই একে একে চলে যেতে থাকেন মানুষজন। ফাঁকা হতেই থাকে শহর। শেষ হিসাব বলছে এখন মাত্র ৫ জন সাকুল্যে থাকেন এ শহরে। তাও অনেক অনুরোধ করে প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি আদায় করতে হয়েছে তাঁদের। তাঁরা চান যতদিন বাঁচবেন এই শহরেই বাঁচবেন।

২০০২ সালে এই শহরের ডাক পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্কুল, কলেজ তো বন্ধই। এ শহরের এখন নামটা রয়ে গেছে। ইতিহাস রয়েছে। তবে বর্তমান কেবলই এক শূন্য। বুকের মধ্যে আগুন নিয়ে একাই ভূতের মত দিন কাটায় এ শহরের জড় জগত।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *