ফাইল : পাকিস্তানের কোয়েটায় বিস্ফোরণস্থল, ছবি - আইএএনএস
বাসে ছিলেন ১৬ জন যাত্রী। বাসটিকে ফাঁকা একটি জায়গায় দাঁড় করায় সেনার পোশাক পরা ১৫ থেকে ২০ জন। তাদের হাতে বন্দুক ছিল। প্রথমে তারা বাস যাত্রীদের কাছে থাকা কাগজপত্র দেখতে চায়। সেনার তরফে কোনও তল্লাশি হলে এভাবে কাগজ চাইতেই পারে। তাই যাত্রীরা তা দেখানও। তখনও কী হতে যাচ্ছে সে সম্বন্ধে বিন্দুমাত্র আন্দাজ ছিলনা যাত্রীদের।
কাগজ দেখার পর ১৪ জন যাত্রীকে বাস থেকে নামিয়ে আনে ওই সেনার পোশাক পরা বন্দুকবাজরা। বাস থেকে নামিয়ে তাঁদের দাঁড় করিয়ে শুরু হয় গুলিবর্ষণ। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যেতে থাকেন নিরীহ যাত্রীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় একের পর এক লুটিয়ে পড়তে থাকেন। এভাবে নির্মমভাবে ১৪ জনকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে শেষ করে দিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় বন্দুকবাজরা।
বাসে থাকা যে ২ জন বেঁচে গিয়েছিলেন তাঁরা কোনওক্রমে পালিয়ে কাছাকাছি চেকপোস্টে খবরটা দেন। দ্রুত পুলিশের বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ওই ২ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃতদেহগুলিকে উদ্ধার করা হয়। তারপর শুরু হয় পুলিশের খানাতল্লাশি। গোটা এলাকা তন্নতন্ন করে খোঁজা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশে। করাচি থেকে গদর। এই রুটে প্রতিদিন ৫-৬টি বাস যাতায়াত করে। মাকরান কোস্টাল হাইওয়ে ধরে যাতায়াত করে বাসগুলি। তেমনই একটি বাস এদিন আটকায় বন্দুকবাজরা।
গোটা ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত বলেই দাবি করেছেন বালুচিস্তানের পুলিশ প্রধান। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন। বালুচিস্তানে এই নিয়ে একই মাসে ২টি গণহত্যার ঘটনা ঘটল। প্রথমটি হয়েছিল গত ১২ এপ্রিল কোয়েটায়। হাজারা জনগোষ্ঠীর ২০ জনকে হত্যা করা হয় একটি বাজারে। তারপর বৃহস্পতিবার বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে গুলি করে ঝাঁঝরা করার ঘটনা ঘটল।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)