World

তাপমাত্রার পারদ ছুঁল ৫০-এর ঘর, জ্বলছে শহর, গৃহবন্দি শহরবাসী

Published by
News Desk

মে মাসে পা পড়লে একটাই আতঙ্ক চেপে বসে ক্রান্তীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের মনে। এবার দাঁতে দাঁত চেপে দিনের পর দিন সূর্যের চোখরাঙানি সহ্য করতে হবে। ঘরে-বাইরে টেকা যাবে না। তবে ঘূর্ণাবর্তের জেরে এখনও সেভাবে দমবন্ধ গরমে প্রাণ যায় যায় অবস্থা হয়নি দেশবাসীর। বরং মে মাসে গরম জাঁকিয়ে পড়ার আগেই প্রবল বর্ষণ, বজ্রপাত আর ঝড়ের তাণ্ডবে নাজেহাল অবস্থা দেশের একাধিক রাজ্যের বাসিন্দাদের।

তবে বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে একেবারেই উল্টো অবস্থা প্রতিবেশি দেশের নবাবশাহ শহরের। গ্রীষ্মকাল পড়তে না পড়তেই প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার উপক্রম এই শহরের বাসিন্দাদের। এমনিতে মার্চ-এপ্রিলের দিকে প্রতি বছরই তাপমাত্রার পারদ ৪০-এর ওপর চড়ে থাকে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের রুক্ষ প্রকৃতির শহরটায়। এখানকার মানুষও তাই গরম সহ্য করতে অভ্যস্ত। তবে এবার যেন কোমর বেঁধে শহরটাকে পুড়িয়ে ছারখার করতে ময়দানে নেমে পড়েছে সূর্য। গত সোমবারই শহরে তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৫০ দশমিক ২ ডিগ্রির ঘর। যা চলতি বছরে এপ্রিল মাসে এশিয়া মহাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়ে দিয়েছেন আবহবিদেরা।

এশিয়ার মধ্যে নবাবশাহের উষ্ণতম হয়ে ওঠার বিষয়টি প্রথমে নজরে আসে ফরাসি আবহবিদ ইতিয়েনে কাপিকিয়ানের। গত মার্চেই উষ্ণতম শহর হিসেবে দেশের মধ্যে ১ নম্বরে উঠে এসেছিল নবাবশাহ। গরমের রেকর্ডে এই শহর পিছনে ফেলে দিল বিশ্বের তাবড় তাবড় উষ্ণ শহরকে। অবস্থা এখন এতটাই গুরুতর যে দিনের আলোয় পথেঘাটে বার হওয়ার সাহস করছে না শহরের কেউই। এখানে সবাই কার্যত গৃহবন্দি। রোদে বেরোলেই মুখ পুড়ে লাল। হল্কা বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। গরমে শরীরে অস্বস্তি তো বাড়ছেই, পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যা। সঙ্গে সানস্ট্রোক। একটু বৃষ্টি হলে হয়তো কিছুটা রেহাই পেতেন শহরের ধুঁকতে থাকা মানুষগুলো। কিন্তু সে গুড়ে বালি। আপাতত জ্বলতে থাকা শহরে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস দিতে পারেননি আবহবিদেরা।

Share
Published by
News Desk