আরশোলা, প্রতীকী ছবি
খাবার যে অত্যন্ত নিম্নমানের হচ্ছে তা আগেই জানিয়েছিলেন অনেক সাংসদ। সঠিক জায়গায় অভিযোগও করেছিলেন। প্রশ্ন উঠেছিল মাংসের পদে দেওয়া মাংসের মান নিয়েও।
তাঁরা দেশের সাংসদ। তাঁদের এত নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে! তাও আবার দেশের পার্লামেন্ট হাউসের ক্যাফেটেরিয়ায়!
সাধারণ মানুষ তা নিয়ে চর্চাও শুরু করেছিলেন। এবার সেই চর্চা নতুন মাত্রা পেল। কারণ এবার সরাসরি খাবারে পাওয়া গেল আস্ত আরশোলা।
খাবার প্লেটে সাজিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু তা পরিবেশনের পরই খাবারের মধ্যে আরশোলা দেখতে পাওয়া যায়। এই ঘটনার পর অবশ্য এতটাই হইচই শুরু হয়ে যে ক্যাফেটেরিয়া সিল করে দেয় প্রশাসন।
পাক পার্লামেন্টের ক্যাফেটেরিয়ার খাবারে আরশোলা নিয়ে সে দেশে এখন সাংসদরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। ইসলামাবাদের প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানানোর পর তাঁরা পার্লামেন্ট হাউসের ক্যাফেটেরিয়ায় হানা দেন। তখনই দেখা যায় যে যেখানে রান্না হচ্ছে তা শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে।
রান্নাঘরের মধ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রচুর আরশোলা ও অন্য পোকা। সেখানেই রান্না হচ্ছে। আর তা হচ্ছে দেশের সাংসদদের জন্য। এটা দেখার পর সিল করে দেওয়া হয় ক্যাফেটেরিয়া।
প্রসঙ্গত ২০১৪ সালেও এই ক্যাফেটেরিয়ায় টমেটো কেচাপের মধ্যে আরশোলা পাওয়া গিয়েছিল। তখনও সেই সেই ঘটনা নিয়ে হইচই হয়। ফের একই ঘটনা ঘটল ২০২২ সালে। সময় এগোলেও পাক পার্লামেন্টের ক্যাফেটেরিয়া যেখানে ছিল সেখানেই রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা