রাস্তার গা ঘেঁষে উঠে গেছে পাহাড়। চারপাশও পাহাড়েই ঘেরা। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ এসব এলাকা। রাস্তায় যেতে যেতে পাহাড়, উপত্যকার সৌন্দর্য উপভোগ করেন তাঁরা। কিন্তু এ রাস্তা বছরে মাত্র ৫ মাসই খোলা থাকে যান চলাচলের জন্য। বাকিটা বন্ধ। বলা ভাল বন্ধ রাখা ছাড়া উপায় নেই। কারণ বাকি সময়টা এ রাস্তা সাদা বরফের পুরু চাদরে ঢাকা থাকে। সেই রাস্তা ধরেই ছুটে যাচ্ছিল একটি যাত্রীবাহী বাস। আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারায় সেটি। তারপর দুরন্ত গতিতে সোজা গিয়ে আছড়ে পড়ে রাস্তার ধারের পাহাড়ের গায়ে।
পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা খাওয়ার পর বাসটা কার্যত দুমড়ে মুচড়ে যায়। ৪০ জন যাত্রী নিয়ে ছুটে চলা বাসটিতে তখন মহিলা শিশু ছাড়াও ১৬ জন সেনাকর্মী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর বাস থেকে আর্তনাদের শব্দ ভেসে আসতে থাকে। দ্রুত উদ্ধার শুরু হয়। ১৪ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২৬ জনের দেহ বাস থেকে বার করে আনেন উদ্ধারকারীরা। মৃতদের মধ্যে মহিলা ও শিশুও রয়েছে।
মৃতদেহগুলির এতটাই খারাপ অবস্থা যে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে তাদের শনাক্তকরণের কাজ। কীভাবে ও কেন দুর্ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তানের দিয়ামের জেলার বাবুসার পাসে। প্রতি বছর জুন মাস থেকে অক্টোবর পর্যন্ত খোলা থাকে এই রাস্তা। তারপর নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত বরফের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় এই রাস্তায় যান চলাচল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা













