ফুসফুসে আটকে থাকা নোলক, ছবি – সৌজন্যে – ইন্সটাগ্রাম - @dat1mrmr
তিনি নাকে একটি নোলক পরতেন। আধুনিক জীবনে অনেক পুরুষই এমন গয়না পরে থাকেন। তাঁর পছন্দের স্টাইল ছিল নাকে নোলক পরা।
একদিন তিনি শুয়েছিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে বুঝতে পারেন তাঁর নোলকটি খোয়া গেছে। প্রথমে তন্ন তন্ন করে বিছানা ঘেঁটে দেখার পর কিছুই না পেয়ে ঘর খুঁজে ফেলেন তিনি। তারপর যত জায়গায় সেটি পড়ে গিয়ে থাকতে পারে সেসব জায়গা খুঁজেও নোলকটির সন্ধান না পেয়ে অগত্যা আশা ছেড়ে দেন।
এমনও তাঁর মাথায় আসে যে হয়তো তিনি সেটি খেয়ে ফেলেছেন। ৫ বছর আগের সেই ঘটনা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিতে অনেকটাই ধূসর হয়ে এসেছিল। কিন্তু সেদিন রাতে তিনি কার্যত চমকে গেলেন।
রাতে ঘুমটা ভেঙেই গিয়েছিল কাশির চোটে। সে কাশি থামতেই চায়না। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। অগত্যা ৩৫ বছরের ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিৎসকেরা তাঁর এক্স-রে করেন। তারপর সেই এক্স-রে প্লেটটি জোই লাইকিন্সের কাছে নিয়ে এসে চিকিৎসক এক্স-রে প্লেটে ফুসফুসের খাঁজে আটকে থাকা একটি জিনিস দেখান। চিনতে অসুবিধা হয়নি ওই যুবকের। ওটাই তো তাঁর হারিয়ে যাওয়া পছন্দের নোলক!
চিকিৎসকেরা নোলকটি বার করে আনেন ফুসফুস থেকে। যেটি গত ৫ বছর গচ্ছিত ছিল তাঁরই ফুসফুসের খাঁজে। তাই সর্বত্র খুঁজেও সেটির দেখা পাননি জোই।