গল্ফের বলে সপাটে শট, গল্ফ খেলে নিজের জন্মদিন পালন করলেন ১০৫ বছরের তরুণী
তিনি গোটা বিশ্বকে একটা বার্তা দিলেন। শেখালেন বয়স মনের হয়। শরীরকে ঠিক রাখতে চাইলে ১০৫ বছরেও গল্ফ খেলা যায়।

মাথার ওপর চড়া রোদ। বিশাল সবুজ উৎরাই চড়াই প্রাঙ্গণ। তবে সাজানো। গল্ফের মাঠ যেমন হয়। সেখানেই গল্ফ স্টিক হাতে এক মহিলা এগিয়ে এলেন। তারপর গল্ফ টি-এর ওপর বসানো সাদা বলটা ভাল করে দেখে উঁচিয়ে ধরলেন গল্ফ স্টিক।
তারপর মাথার কাছ থেকে একদম পেশাদারি কৌশলে সেই স্টিকটি সজোরে নামিয়ে এনে তিনি মারলেন বলটা। একেবারে পাকা গল্ফ খেলোয়াড়ের চেয়ে তিনি কোনও অংশ কম গেলেন না।
এমনটা তো যিনি গল্ফ খেলেন তিনিই করে থাকেন। তাহলে এটা বলার মানে কি! বলতে হচ্ছে কারণ যিনি এভাবে কৌশলী ধরণকে মাথায় রেখে গল্ফের মাঠে গল্ফ খেললেন তিনি ১০৫ বছরের এক বৃদ্ধা। ঠিক করে বললে অতি বৃদ্ধা। তবে গোটা পৃথিবীর চোখে তিনি এখনও তরুণী।
১০৫ বছরের তরুণী। যিনি গল্ফের ময়দানে সাদা প্যান্ট আর নীল টিশার্ট পরে মাথায় টুপি দিয়ে গল্ফ খেলে নিজের জন্মদিনটা উদযাপন করলেন একদম অন্য মেজাজে। চোখে ছিল রোদচশমা।
সোজা হেঁটে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারও দিলেন। কারও কোনও সাহায্যের প্রয়োজন নেই। নিদেনপক্ষে হুইল চেয়ারটাও তাঁর লাগেনা। তিনি রেনে পারমার। যিনি প্রথম জীবনে ছিলেন একজন নান।
১৮ বছর বয়সে নান হন তিনি। তাঁর যখন ৪০ বছর বয়স তখন তাঁর গল্ফ খেলায় হাতেখড়ি। তারপর আর গল্ফ ছাড়েননি। এখন এই ১০৫ বছর বয়সেও তিনি প্রতি সপ্তাহে গল্ফ খেলতে হাজির হন।
অন্যরা ভুল করলে বুঝিয়ে দেন ঠিক কীভাবে গল্ফের ক্ষেত্রে শট মারতে হয়। ওহিও-র বাসিন্দা এই ১০৫ বছরের তরুণী গল্ফ খেলতে এখনও ভালবাসেন। তিনি বিশ্বাস করেন, খেলার পাশাপাশি এটা একটা দারুণ ব্যায়ামও।