World

ধনী দেশ, দরিদ্র দেশ, আদি অনন্ত ধাঁধার উত্তর খুঁজে ত্রয়ীর নোবেল জয়

পৃথিবীতে একটি দেশ ধনী দেশ হিসাবে চিহ্নিত হয়। অন্য একটি দেশ দরিদ্র দেশ হিসাবে চিহ্নিত হয়। কেন, সেই ধাঁধার উত্তর খুঁজে পেলেন ৩ প্রতিভা।

Published by
News Desk

বিশ্বজুড়ে অনেক দেশ ছড়িয়ে আছে। তারমধ্যে কিছু দেশকে ধনী দেশ বলে চিহ্নিত করা হয়। সেই তালিকায় যেমন রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, লুক্সেমবার্গ, নরওয়ে, সিঙ্গাপুর, সুইৎজারল্যান্ডের মত অনেক দেশ। তেমনই দরিদ্র দেশের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ সুদান, বুরুন্ডি, মাদাগাস্কার, মোজাম্বিক, কঙ্গোর মত অনেক দেশ।

প্রশ্ন হল কেন এই ফারাক। এই ধরাধামে কোনও দেশ বিশাল ধনী আর কোনও দেশ অতি দরিদ্র কেন? এ প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরপাক খায়। অনেকটা ধাঁধার মত মনে হয় এই ফারাক।

৩ অর্থনীতিবিদ তারই উত্তর খুঁজে বার করার চেষ্টা করলেন। এমআইটি-র ড্যারন অ্যাসিমোগলু এবং সাইমন জনসন আর শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস রবিনসন, এই ৩ অর্থনীতিবিদ একসঙ্গে অনেক পরিশ্রম করে বিশ্বজুড়ে এই ধনী দরিদ্র দেশের ফারাক ও তার কারণ খুঁজে বার করার চেষ্টা করেছেন।

তাঁরা এটাও জানিয়েছেন এই ফারাক কমানো অত্যন্ত জরুরি। ৩ অর্থনীতিবিদের এই প্রচেষ্টার জন্য রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি তাঁদের ২০২৪ সালের নোবেল পুরস্কারের জন্য বেছে নিয়েছে। এই ত্রয়ী পাচ্ছেন এবারের অর্থনীতিতে নোবেল।

এই ৩ অর্থনীতিবিদই নানা প্রক্রিয়ায় এই কারণ দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তবে তাঁরা সবচেয়ে বেশি এই ধনী দেশ দরিদ্র দেশ ফারাকের জন্য সামাজিক সংগঠনগুলিকে দায়ী করেছেন। কারণ এই বিভিন্ন সংগঠনের ওপর একটি সমাজের সার্বিক উন্নতি ও সমৃদ্ধি নির্ভর করে থাকে।

যে সমাজে আইন ব্যবস্থা দুর্বল এবং যেখানে অনেক সংগঠন বা সংস্থা মানুষকে শোষণ করে সেখানে দেশের সার্বিক বৃদ্ধি প্রায় হয়না। কেন তাও তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন।

ধনী দেশ ও দরিদ্র দেশের মধ্যে যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ফারাক থাকে তা দূর করা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে অভিহিত করেন ত্রয়ী। এটাও বলেন যে এই কাজ করতে গেলে সামাজিক সংগঠনগুলির বিশাল অবদান থাকতে হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk
Tags: Nobel Prize