World

শততম নোবেল শান্তি পুরস্কারের ঘোষণা, উচ্ছ্বসিত আফ্রিকা

Published by
News Desk

২০১৯ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার ছিল নোবেল শান্তি পুরস্কারের তালিকার শততম অধ্যায়। আর সেই নোবেল শান্তি পুরস্কার এবার পেলেন আফ্রিকার ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবি আহমেদ। অসলো থেকে এই ঘোষণা হয় শুক্রবার। দৌড়ে অবশ্য অনেকেই ছিলেন। এবার নোবেল শান্তির দৌড়ে ছিলেন ২২৩ জন ব্যক্তি ও ৭৮টি প্রতিষ্ঠান। দৌড়ে এগিয়ে রাখা হয়েছিল মাত্র ১৬ বছর বয়স্ক সুইডেনের পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গ-কে। কিন্তু ঘোষণা হল অন্য নাম। এবি আহমেদের কৃতিত্ব অবশ্য কম নয়। মাত্র ১ বছরের শাসনকালেই ঐতিহাসিক কিছু পদক্ষেপ করে ফেলেছেন এবি।

২০১৮ সালে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন এবি। তারপরই ২০ বছর ধরে চলা ইথিওপিয়া ও এরত্রা, এই ২ প্রতিবেশি দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইতি টানেন। ২ দেশের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি করে ২০ বছরের টেনশন শেষ করে দেশের মানুষের কাছে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। নজর কাড়তে শুরু করেন বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও সমালোচকদের।

এছাড়াও তিনি ক্ষমতায় আসার পর কঠোর অনুশাসনের মধ্যে থাকা ইথিওপিয়ায় উদারীকরণে জোর দেন। একের পর এক সংস্কারমুখী পদক্ষেপ করেন। কয়েক হাজার বিরোধী নেতা কর্মীকে ইথিওপিয়ার কারাগার থেকে মুক্তি দেন। নির্বাসিত বিদ্রোহীদের ঘরে ফিরিয়ে আনেন। তাঁর একের পর এক কাজ গোটা দুনিয়াকে মুগ্ধ করছিল।

নোবেল কমিটি মনে করছে এবি যেভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই চালাচ্ছেন নোবেল প্রাপ্তি সেই লড়াইকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আগামী ডিসেম্বরে অসলো-তে এবি আহমেদের হাতে নোবেল পুরস্কার ও তারসঙ্গে পুরস্কার অর্থ তুলে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত নোবেল পুরস্কার ৬টি ক্ষেত্রে দেওয়া হয়। বাকি ৫টি ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় সুইডেন থেকে। কিন্তু অ্যালফ্রেড নোবেলের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে এখনও নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয় নরওয়ের অসলো থেকে। এরও কারণ রয়েছে। কারণ একসময়ে নরওয়ে ছিল সুইডেন রাজতন্ত্রের একটি অংশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk

Recent Posts