Sports

গোলের হ্যাটট্রিক করলেন তিনি, তবু দিনটা দুঃস্বপ্নেরই থেকে গেল তাঁর জীবনে

৩টে পর পর গোল। দেখার মত শট। হ্যাটট্রিক করে তাঁর খুশি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর এই হ্যাটট্রিকের কষ্ট তিনি হয়তো জীবনেও ভুলতে পারবেননা।

Published by
News Desk

প্রথম গোলটা ছিল চোখ জুড়োনো বাঁ পায়ের শট। বলটা দুরন্ত গতিতে জালে জড়িয়ে যায়। দ্বিতীয় গোলটা আসে তার কিছু পরেই। এবার ডান পায়ের জোড়াল শট। সেটাও সোজা জালে জড়ায়।

তৃতীয় গোলটাও তিনিই করলেন। তাও আবার হেড করে। একদম নিখুঁত হেডে গোলকিপারকে নড়ার সময় না দিয়ে গোলে বল জড়িয়ে দেন তিনি।

হ্যাটট্রিক করেন তিনি। তাও আবার খেলার প্রথমার্ধেই। খেলার ৪০ মিনিটের মাথায় তাঁকে মাঠ থেকে তুলে নেন কোচ। তাঁর জায়গায় নামেন অন্য ফুটবলার।

এমন এক পারফরমেন্সের পর তাঁকে নিয়ে গোটা দলটার হৈহৈ করার কথা। কিন্তু তিনিও পাথরের মত থমথমে মুখ নিয়ে বসে রইলেন সাইডলাইনে। আর আশপাশে থাকা সতীর্থরাও তাঁর দিকে তাকিয়ে মুখ ভার করে রইলেন।

খেলাটা হচ্ছিল আমেরিকা বনাম নিউজিল্যান্ডের। মহিলা ফুটবল দলের ম্যাচ। ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন মেইকেলা মুর। তিনিই হ্যাট্রিকটি করেন।

প্রতিটি শট চোখ জুড়োনো হলেও প্রতিটি শটই তিনি মারেন নিজেদের গোলে। প্রতিপক্ষের নয়। ফলে গোল তিনি করেন। আর প্রতিপক্ষ আমেরিকার স্কোরে ১ গোল করে যোগ হতে থাকে।

প্রথমার্ধে শুধু মুরের গোলে আমেরিকা ৩ গোলে এগিয়ে যায়। পরে দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে আমেরিকার ২ মহিলা ফুটবলার ২টি গোল করেন। আমেরিকা জেতে ৫-০ ব্যবধানে।

তবে এই জয়ের মূল কারিগর হয়ে রইলেন প্রতিপক্ষের মুর। যিনি নিজের গোলে বল জড়িয়ে হ্যাটট্রিক করে দলের হার নিশ্চিত করেন।

Share
Published by
News Desk
Tags: New Zealand

Recent Posts