৫৬ বছর পর উদ্ধার হওয়া আংটি, ছবি – সৌজন্যে – ইউটিউব – @abc7NY
১৯৬৯ সালে তিনি তখন কলেজে পড়েন। গিয়েছিলেন সমুদ্রের ধারে সূর্যাস্ত দেখতে। সূর্যাস্ত দেখার সময় আচমকাই তাঁর আঙুলে থাকা আংটিটি খুলে জলে পড়ে যায়। সমুদ্রের ওই অংশটি কিছুটা হলেও গভীর ছিল।
সেখানে আংটিটি পড়ে যাওয়ার পর অনেক খুঁজেও সেটি আর পাওয়া যায়নি। তারপর কেটে গেছে ৫৬ বছর। এক ব্যক্তি গুপ্তধনের সন্ধানে হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন সমুদ্রের ধার ধরে। বালির ওপর তাঁর মেটাল ডিটেক্টরটি কার্যত বালির তলায় কিছু থাকলে তার খোঁজ করে বেড়াচ্ছিল।
আর তা করতে গিয়ে একটা জায়গায় মেটাল ডিটেক্টরটি কিছু পাওয়ার শব্দ করতে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লং আইল্যান্ডের সিডার বিচের সেই বালুকাবেলায় ওই আওয়াজ পাওয়ার পর শুরু হয় বালি সরিয়ে তার তলায় কি আছে তার খোঁজ।
খোঁজ করতে গিয়ে বালির প্রায় ১ ফুট তলা থেকে ডেভ ওরলস্কি নামে ওই ব্যক্তি একটি আংটি খুঁজে পান। বুঝতেই পারেন সেটি বেশ পুরনো। কিন্তু সেটি তার মালিককে ফিরিয়ে দেবেন কীভাবে? সেই খোঁজ দেয় আংটিটিই।
আংটির গায়েই লেখা ছিল ফোর্ডাম ইউনিভার্সিটি ক্লাস অফ ১৯৬৯। বোঝা যায় সেই সময়ের কোনও পড়ুয়ার আঙুল থেকে এই আংটি বিচে খসে পড়েছিল। তারপর সেটি ৫৬ বছর ধরে বালির তলাতেই থেকে যায়।
এখন অচেনা মানুষকে খোঁজার সবচেয়ে সহজ উপায় অবলম্বন করেন আংটির খোঁজ পাওয়া ওরলস্কির স্ত্রী। তিনি সমাজ মাধ্যমে আংটির মালিকের খোঁজ করেন। পেয়েও যান।
তারপর তাঁকে সেই আংটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ডিস্টেফানো নামে ওই ব্যক্তি তাঁর কলেজ জীবনে হারিয়ে যাওয়া সেই আংটি ফিরে পেয়ে কার্যতই আপ্লুত হয়ে পড়েন।