কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মিত চিত্রে জল, প্রতীকী ছবি
মানুষের প্রস্রাব এক বর্জ্য পদার্থ। যা অবিলম্বে সাফ না করলে তা থেকে নানাধরনের অসুখ সৃষ্টির সম্ভাবনা থেকে যায়। যা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ফেলে এসেছে মহাকাশচারীদের। মহাকাশচারীরা এতদিন যে বিশেষ ধরনের পোশাক পরে মহাকাশে পৌঁছতেন বা মহাকাশে হাঁটতেন, তা তৈরির সময় পোশাকের মধ্যেই মল মূত্র ত্যাগের ব্যবস্থা থাকত।
অনেক স্তর বিশিষ্ট প্রাপ্তবয়স্কদের ডায়াপার সহ সুপার অ্যাবজরবেন্ট পলিমার ব্যবহার করা হত। যাতে ওই মল মূত্র পোশাকের মধ্যেই শোষণ করা যায়।
কিন্তু তারপরেও মহাকাশচারীদের অভিযোগ ছিল মল মূত্র শোষণ যতই হোক তা একটা সময়ের পর নিঃসরিত হতে থাকে। সহজ কথায় লিক করে।
এটা মাথায় রেখে আগামী দিনে মহাকাশচারীদের জন্য অন্য এক পোশাক বানিয়েছেন উইল কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। এই পোশাকে আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
মহিলা ও পুরুষদের জন্য ভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা থাকছে এই পোশাকে। তবে শর্ত একটাই। একটি বিশেষ ধরনের ক্যাথিটারের মাধ্যমে একটি কাপে এসে জমা হওয়া মূত্র পোশাকের মধ্যেই বিশেষ প্রযুক্তির হাত ধরে মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই পরিস্কার জলে পরিণত হবে।
এতে শরীরে ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন বা গ্যাসট্রোইন্টেস্টাইনাল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেনা। এছাড়া এই পোশাকে মল, মূত্র লিক হওয়ার ভয়ও থাকবেনা। সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে পোশাকটি।
এই পোশাকে অনেক বেশি নিশ্চিন্তে মহাকাশচারীরা মহাশূন্যে ভেসে বেড়াতে পারবেন। এই পোশাকের ওজন হচ্ছে ৮ কিলোগ্রাম। যা ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে চাঁদ সহ বিভিন্ন মিশনে মহাকাশচারীদের পরানো হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা