অ্যামিবা, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
অক্টোবরের শুরুর দিকেই প্রথম দেখা যায় উপসর্গ। মাথাব্যথা, বমি, জ্বর হতে থাকে। ক্রমশ তার ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়ায় দিকে মোড় নেয়। শেষে কোমায় পৌঁছে যায়। এক কিশোরের ক্ষেত্রেও প্রায় এমনটাই হয়। তাও হয় অতি দ্রুত।
মোটামুটি ৫ থেকে ৭ দিন। এর মধ্যেই সব শেষ। চিকিৎসকেরা জানান ওই কিশোরের ব্রেন বা মস্তিষ্কটাই কুড়ে কুড়ে খেয়ে নিয়েছে এক ধরনের অ্যামিবা।
ওই অ্যামিবা তার শরীরে প্রবেশের পর দ্রুত মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ ঘটায়। তারপর শুরু হয় তার ব্রেন খাওয়া। এভাবে কয়েকদিনের মধ্যে এই মস্তিষ্কভোজী অ্যামিবা একজন মানুষকে শেষ করে দিতে পারে।
এককোষী জীব অ্যামিবার নানা ধরন রয়েছে। তার মধ্যে একটি প্রকার হল নাগলেরিয়া ফাওলেরি। এই ধরনের অ্যামিবা সাধারণত দিঘির জলে থাকে। সেখানে স্নান করতে কেউ নামলে তা তাঁর শরীরে প্রবেশ করে।
ওই কিশোরের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। কারণ ওই কিশোর অক্টোবরের শুরুতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডার লেক মিড নামে দিঘিতে স্নান করেছিল। তার দিন ৪-৫-এর মধ্যেই কিশোরের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে থাকে।
চিকিৎসকেরা অবশ্য জানিয়েছেন, দিঘির জলে স্নান করতে নামলেই যে এই অ্যামিবা শরীরে প্রবেশ করবে এমনটা নয়। বরং অতি বিরল এই মস্তিষ্ক খেয়ে ফেলার ঘটনা। মোট সংক্রমিতের সংখ্যাও কার্যত নগণ্য। তবে নাগলেরিয়া ফাওলেরি একবার প্রবেশ করলে তার হাত থেকে বাঁচার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা