World

নেপালে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু, পাহাড়ি গ্রামের ২ লক্ষ মানুষের কোনও খবর নেই

একে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা বলা যেতেই পারে। ৮ বছর আগে ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে যাওয়া নেপালকে ফের ধ্বংসস্তূপের রূপ দিল মাঝরাতের কম্পন।

Published by
News Desk

তখন নেপালে রাত ২টো ২ মিনিট। গোটা দেশটাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। শীত মাঝরাতে বেশ কড়া। সেই নিঝুম রাতে আচমকা ধড়মড়িয়ে বিছানা থেকে লাফিয়ে ওঠেন মানুষজন। চারিদিক কাঁপছে। ঘরের আসবাব, খাট, পাখা, টেবিল চেয়ার সবকিছু।

২০১৫ সালের স্মৃতি এখনও নেপালের মানুষকে পিছু তাড়া করে বেড়ায়। ফলে গাঢ় ঘুম থেকে আচমকা ওঠা মানুষগুলোরও বুঝতে অসুবিধা হয়নি কি হচ্ছে।

দেরি না করে বহু মানুষ বাড়ি ছেড়ে পরিবার নিয়ে বেরিয়ে আসেন। বাকি সব পড়ে থাকে বাড়ির মধ্যেই। অনেকেই নিজের সাধের বাড়িটাকে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়তে দেখেন চোখের সামনে। আর যাঁরা বার হতে পারেননি তাঁরা হারিয়ে যান ধ্বংসস্তূপের তলায়।

নেপালে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। বেলা পর্যন্ত দেড়শো মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৪। পশ্চিম নেপালের পাহাড়ি জেলা জাজরকোটে কম্পনের প্রভাব পড়ে সবচেয়ে বেশি। রেহাই পায়নি নেপালের বাকি জেলাগুলিও। এমনকি ভারতের দিল্লি পর্যন্ত কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে।

নেপাল ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। এখানেই ইন্ডিয়ান ও ইউরেশিয়ান টেকটনিক প্লেট একে অপরকে ছুঁয়েছে। যার ফলে এই অঞ্চল পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা।

উদ্ধারকাজ শুরু হলেও সবচেয়ে বড় সমস্যা জাজরকোটের পাহাড়ি গ্রামগুলিকে নিয়ে। হিমালয়ের কোলে থাকা এসব গ্রামে প্রায় ২ লক্ষ মানুষের বাস। সেসব গ্রামের অধিকাংশের সঙ্গেই কোনও যোগাযোগ করা যাচ্ছেনা। সেখানকার মানুষজন যে কি পরিস্থিতিতে রয়েছেন তার খোঁজ নেই।

Share
Published by
News Desk

Recent Posts