নেপালের পোখরায় বিমানের ধ্বংসাবশেষ, ছবি - আইএএনএস
স্বামী ছিলেন পাইলট। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের পাইলট হিসাবে তিনি যখন উড়ে বেড়াচ্ছেন তখন স্ত্রী মঞ্জু-র বয়স ২৮ বছর। বিমানে চড়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু কাকে বলে ককপিট, কেমন হয় বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা তার বিন্দুমাত্র জ্ঞান তাঁর ছিলনা।
সেই ২৮ বছর বয়সেই মঞ্জুর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। নেপালের জুমলা জেলায় একটি বিমান দুর্ঘটনায় শেষ হয়ে যায় তাঁর স্বামী দীপক পোখারেলের জীবন। ২০০৬ সালে সেই বিমানটি ছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের।
সেই ধাক্কা সামলে মঞ্জু স্থির করেন স্বামীর পেশাতেই তিনি হাত পাকাবেন। বাবা চেয়েছিলেন মঞ্জুকে ভারতে পাঠিয়ে নার্সিং শেখাতে, কিন্তু তিনি তাতে রাজি হননি। বরং মার্কিন মুলুকে গিয়ে পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নেন মঞ্জু।
তাতে পাশ করার পর মঞ্জু ফিরে আসেন নেপালে। যোগ দেন ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানে। তবে একজন কো-পাইলট হিসাবে যোগদান করেন তিনি। কারণ শুরুতেই পাইলট হওয়া যায়না।
সহ-পাইলট হিসাবে কমপক্ষে ১০০ ঘণ্টা বিমানে না উড়লে পাইলটের আসনে বসা যায়না। সেই ১০০ ঘণ্টা প্রায় শেষ করে এনেছিলেন মঞ্জু।
এক মেয়েকে বড় করার পাশাপাশি তিনি এভাবে নিজের এবং প্রয়াত স্বামীর স্বপ্নকে বাস্তব করে তুলছিলেন। সেই লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে যেতে চলেছিলেন গত রবিবার।
সেই ইয়েতি এয়ারলাইন্সেরই কো-পাইলটের চেয়ারে বসেছিলেন মঞ্জু। অপেক্ষায় ছিলেন পাশের পাইলটের চেয়ারে বসার। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হল না।
স্বামীর মতই ৪৪ বছর বয়সে মঞ্জুর জীবনও শেষ হয়ে গেল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনায়। যা রবিবার নেপালের পোখরায় ভেঙে পড়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা