National

সম্পত্তি হাতাতে মাকে বাড়ি ছাড়া করেন তিনি, দিদির মন্তব্যে অস্বস্তিতে সিধু

তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন তারকা। তিনি হাস্যকৌতুক জগতের অন্যতম মুখ। তিনি দেশের এক অন্যতম রাজনীতিবিদও। যিনি এখন দিদির বক্তব্যে প্রবল অস্বস্তিতে।

Published by
News Desk

সামনেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে কংগ্রেসের মুখ তিনি। রাজ্যের কংগ্রেস প্রধানও। তিনি নভজ্যোৎ সিং সিধু। পঞ্জাবের এই অন্যতম রাজনৈতিক নেতা এক সময় ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম ব্যাটার। পরে তাঁকে বিভিন্ন স্ট্যান্ড আপ কমেডি শোতে বিচারক হিসাবে দেখা গেছে।

নিজেও খোলা মনে নিজের বক্তব্য দিয়ে মানুষকে হাসাতে পারেন। পরবর্তীকালে তিনিই ক্রমে হয়ে ওঠেন পঞ্জাব রাজনীতির অন্যতম মুখ।

এখন তিনি পঞ্জাবের কংগ্রেস প্রধানও। যেখানে কার্যত কংগ্রেসই এখন শক্তিশালী। সেই সিধু কিন্তু ভোটের মুখে দিদির একটি বক্তব্যে কার্যত কোণঠাসা।

সিধুর দিদি সুমন তুর শুক্রবার দাবি করেছেন তাঁর ভাই সিধু তাঁর বাবার মৃত্যুর পর মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। কারণ তাঁর লক্ষ্য ছিল বাবার সম্পত্তি দখল করা। এজন্য মাকে বাড়ি ছাড়া করেন সিধু।

১৯৮৯ সালে তাঁর মা একটি রেল স্টেশনে অসহায়ভাবে মারা যান। কেবল সম্পত্তি হাতাতে এতটাই নির্মম হতে পেরেছিলেন তাঁর ভাই নভজ্যোৎ সিং সিধু। সুমন তুরের দাবি ১৯৮৬ সালে সম্পত্তি হাহাতে তাঁকে এবং তাঁর মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন সিধু।

পঞ্জাবে কংগ্রেস যদি ফের ক্ষমতায় ফেরে তাহলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? এই প্রশ্নে এখন ২টি মুখের মধ্যে লড়াই চলছে। একটি মুখ পঞ্জাবের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি এবং দ্বিতীয় মুখ নভজ্যোৎ সিং সিধু।

যেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে চন্নিকে টক্কর দিচ্ছেন, সেখানে তাঁর সম্বন্ধে এমন একটি পারিবারিক বোমা কিন্তু সিধুর জন্য যথেষ্ট অস্বস্তির। যা বিরোধীদের প্রচারে অন্যতম ধারাল অস্ত্রও হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk