National

খেলার ছলে বন্ধুর মলদ্বারে প্রবল হাওয়া, মৃত্যু

Published by
News Desk

রোজকার মত কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন রবিন্দর কুমার। দিল্লির নাঙ্গোলি এলাকায় কাঠের কারখানায় তিনি কাজ করতেন। কাজে বার হওয়ার আগে সম্ভবত তিনি লক্ষ্য করেননি একটি বিষয়। আসলে তাঁর প্যান্টের মলদ্বারের জায়গার কাপড় ছেঁড়া ছিল। কারখানায় কাজ করতে গিয়ে মাটি থেকে কোনও একটা জিনিস তুলতে গিয়েছিলেন রবিন্দর। সেসময় তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন পণ্ডিত নামে তাঁর এক সহকর্মী। রবিন্দর কুমারের প্যান্টের ফাটা অংশ তাঁর নজরে পড়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, সহকর্মীর প্যান্ট ফাটা দেখে মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি খেলে যায় পণ্ডিতের।

সহকর্মী তো বন্ধুই হয়। তাই তার সঙ্গে একটু মজা করতে গিয়েছিলেন পণ্ডিত। বন্ধুর প্যান্টের ফাঁক দিয়ে তাঁর মলদ্বারের ভিতর একটি হাই প্রেশারের পাইপ ঢুকিয়ে দেন পণ্ডিত। তারপর সেই পাইপে প্রবল প্রেশারের হাওয়া চালিয়ে দেন। রবিন্দরের দেহে প্রবল গতিতে ঢুকে যায় হাওয়া। যা বছর ৪০-এর রবিন্দরের শরীরে চাপ সৃষ্টি করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রচণ্ড পেটে ব্যথা নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর সহকর্মীরাই। সেখানে অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। বন্ধুর প্রাণঘাতী মজার কারণে গত বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় রবিন্দরের।

ঘটনার তদন্তে নেমে শুক্রবার পণ্ডিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত জানতে কারখানার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Share
Published by
News Desk