
হোলির দিন রাস্তায় বার হলে তো রং গায়ে লাগবেই। মাথার ওপর রং জলের বর্ষণও আচমকা ধেয়ে আসতে পারে। আবার রং ভর্তি বেলুন ফেটে জামায় রঙ লাগতে পারে। হোলির আগে থেকেই পথচারীদের নিয়ে এইরকম নানা দুষ্টুমিষ্টি খেলায় মেতে ওঠে ছেলেপুলের দল। দিল্লির অমর কলোনি বাজার এলাকাও তার ব্যতিক্রম নয়। হোলির এক সপ্তাহ আগে থেকেই সেখানে শুরু হয়ে যায় অকাল হোলি। রঙভরা বেলুন পথচারীদের গায়ে ফাটিয়ে দারুণ আনন্দ করেন সেখানকার লোকজন। তবে রঙের বদলে অনেকসময় বেলুনের ভিতর ঢালা হয় বীর্য। বেছে বেছে মেয়েদের দিকেই সেই বেলুন ছুঁড়ে মারা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় হোলির সেই কদর্য রূপকে সামনে নিয়ে এলেন এক ছাত্রী। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডি শ্রী রাম কলেজের পড়ুয়া।
অভিযোগ, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রী দিল্লির অমর কলোনি বাজারে যান। সেখানে একটি ক্যাফেতে বন্ধুর সাথে খেতে গিয়েছিলেন তিনি। তরুণীর দাবি, রিকশা করে ফেরার পথে কয়েকজন যুবক তাঁর গায়ে বেলুন ফাটিয়ে দেয়। বেলুনের ভিতরের সাদাটে তরলের দাগ লেগে যায় তাঁর প্যান্টে। হোলির আনন্দে একদল ছেলে দুষ্টুমি করে আনন্দ করছে। এইভেবে কিছু না বলে ওই এলাকা ছেড়ে হস্টেলে ফিরে আসেন ওই ছাত্রী। হস্টেলে ফিরে বাকি বান্ধবীদের প্যান্টে লাগা রং দেখান তিনি। জানতে পারেন, প্যান্টে লাগা বস্তুটি আসলে কোনও রং নয়, ওটা আসলে বীর্য। বান্ধবীদের থেকে এই কথা শোনার পর ঘেন্নায় রাগে ফেটে পড়েন ওই ছাত্রী। তিনি আরও জানতে পারেন, প্রতি বছরই নাকি ওই এলাকায় বীর্যভরা বেলুন দিয়ে চলে এহেন অশালীন হোলি। যার ভুক্তভোগী হতে হয়েছে ছাত্রীটির অন্যান্য বান্ধবীদেরও। এমন নোংরা খেলায় মেতে ওঠে এলাকারই অজ্ঞাতনামা যুবকের দল। এই কথা শুনে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি ওই ছাত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। তাঁর দাবি, বছর বছর মেয়েদের সাথে এইভাবে হোলির নামে নোংরামি চলছে। সেই বিষয়ে এলাকার লোকজন যথেষ্ট অবগত। তারপরেও কেউ এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ করেনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাত্রীর পোস্টটি নজরে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় স্থানীয় প্রশাসনিক মহলে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। দেখা হবে, অমর কলোনি বাজার এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও। অভিযুক্ত যুবকদের চিহ্নিত করে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।













