বিতস্তা নদীর জল থেকে উঠে এল পাথরের দেবীমূর্তি, কোন দেবী জানালেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা
হিমালয়ের বুকে বয়ে যাওয়া অনেক নদীর একটি বিতস্তা। সেই নদীর জল থেকে উঠে এল একটি পাথরের দেবীমূর্তি। কোন দেবীর মূর্তি জানালেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
জম্মু কাশ্মীরে এখন প্রবল ঠান্ডা। তবে জীবন জীবিকা তো আর থেমে থাকেনা। সেই তাগিদ থেকেই বিতস্তা নদীর জলে মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত ছিলেন এক মৎস্যজীবী। জায়গাটা জম্মু কাশ্মীরের বারামুলা জেলা।
সেখান দিয়ে বয়ে যাওয়া বিতস্তা নদীর জলে ওই মৎস্যজীবীই পাথরের মূর্তিটির দেখা পান। তিনি দ্রুত খবর দেন পুলিশে। পুলিশ সময় নষ্ট না করে সেখানে হাজির হয়ে মূর্তিটি সংগ্রহ করে। তবে পুলিশ তা তাদের কাছে রাখেনি। মূর্তিটি তুলে দেওয়া হয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আধিকারিকদের হাতে।
মূর্তিটি পাথরের তৈরি। খুব প্রাচীন নয়। বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন মূর্তিটি দেবী দুর্গার। বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন হতে পারে এটি ৯০-এর দশকের। তবে এটি প্রত্নতাত্ত্বিকরা তাঁদের সংগ্রহে নিয়েছেন। ভাল করে পরীক্ষাও করে দেখছেন। মূর্তিটি পাথরের এবং তার ওপর কোনও রংয়ের প্রলেপ নেই।
নদীর জলে দেবতার মূর্তি পাওয়া নতুন নয়। তবে তা সংরক্ষিত করা। তা প্রত্নতাত্ত্বিকদের নজরে আনা। এগুলি জরুরি। বারামুলা পুলিশ কিন্তু সে কাজে দেরি করেনি। দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন যাতে সংরক্ষিত হয়, তা বিশেষজ্ঞদের নজরদারিতে থাকে তা নিশ্চিত করতে তারা সময় নষ্ট না করেই মূর্তিটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের হাতে তুলে দেয়।
সেই সঙ্গে ওই মৎস্যজীবীও মূর্তিটি দেখা মাত্র পুলিশে খবর দেন। এটাও প্রশংসনীয়। কারণ তিনি খবরটি না জানালে মূর্তিটি সম্বন্ধে কিছু জানা যেত না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা













