National

প্রবল ঠান্ডার মধ্যেই ২টি সীমান্তবর্তী গ্রামে খুশির হাওয়া

ভারত পাক সীমান্তবর্তী এলাকা অনেকটা। সেখানে বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে, যেখানে অনেক মানুষের বাস। তাঁদের মুখে এবার হাসি ফুটল একটি সরকারি পদক্ষেপে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে ভূস্বর্গ সবসময়ই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বছরের এমন কোনও সময় নেই যখন সেখানে পর্যটকের ভিড় কম থাকে। ঋতুভেদে তার রূপের ভিন্নতা দেখা যায়।

কাশ্মীরে এখন চিল্লাই কলন চলছে। রাজ্যের মানুষ শীতের কামড়ে একেবারে কাবু হয়ে রয়েছেন। রাজ্যবাসীর ঘরের বাইরে বেরোনোই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই অবস্থাতেও পুঞ্চ জেলার কয়েকটি গ্রামের গ্রামবাসীদের মুখে হঠাৎ হাসি ফুটেছে। কারণ তাঁদের বহু বছরের দাবি পূর্ণতা পেতে চলেছে বলেই মনে করছেন গ্রামবাসীরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে কাশ্মীরের উন্নয়ন আধিকারিকদের কাছ থেকে বাঙ্কার সম্বন্ধীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। এই মুহুর্তে গ্রামবাসীদের কাছে বাঙ্কারের প্রয়োজনীয়তা কতটা কিংবা মোট কতগুলি বাঙ্কার এখন দরকার সে বিষয়ে আধিকারিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।

ভারত পাক সীমান্তে অবস্থিত কাশ্মীরের গ্রামগুলিতে পাকিস্তানি আক্রমণের একটা ভয় সর্বদা থেকে যায়। তেমন কিছু হলে নিজেদের এবং পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতেই গ্রামবাসীরা বাঙ্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এটা তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি।

পাকিস্তানের দিক থেকে গোলাবর্ষণ হলে জীবন রক্ষার তাগিদে গ্রামবাসীরা বাঙ্কারগুলিতে আশ্রয় নিতে পারবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বাঙ্কার সম্পর্কিত তথ্য চেয়ে পাঠানোয় পুঞ্চ জেলার জালাস এবং সালোত্রি নামে ২ গ্রামে খুশির তরঙ্গ উঠেছে।

গ্রামবাসীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁরা চাইছেন যাতে পুঞ্চ জেলায় খুব শীঘ্রই বাঙ্কার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তাঁদের মতে যত বেশি সংখ্যক বাঙ্কার তৈরি করা যাবে, গ্রামবাসীরা তত সুরক্ষিত থাকবেন।

সীমান্তবর্তী এলাকায় বাস করার ফলে তাঁরা সবসময় প্রাণ হাতে নিয়ে বসে থাকেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তে তাঁরা এবার প্রাণভয় থেকে মুক্তি পাবেন বলেই আশা করা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *