মাটির তলা থেকে বেরিয়ে এল পাথর, দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেলেন ২ বন্ধু
কেউ লড়াই করে কিংবা কেউ ভাগ্যের সহায়তায় অপ্রত্যাশিতভাবে সুখের মুখ দেখেন। চকিতে বদলে যায় জীবন। তেমনই এক অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটল ২ বন্ধুর সঙ্গে।
ছেলেবেলার ২ বন্ধুর গল্প। যা এতটাই বিস্ময়কর যে সত্যি বলে বিশ্বাস করাও কঠিন। ২ জনের কঠোর প্রচেষ্টা হঠাৎ করেই তাঁদের জীবন বদলে দিয়েছে। যার পিছনে অবদান রয়েছে এক পাথরের টুকরোর। যার বিনিময়ে তাঁরা নিজেদের পরিবর্তে বোনেদের জীবন রঙিন করতে চান।
২৪ বছর বয়সী সতীশ খটিক এবং ২৩ বছরের সাজিদ মহম্মদ। ছোটবেলা থেকেই অর্থকষ্টে ভুগে তাঁরা বড় হয়েছেন। এখনও তাঁরা আর্থিকভাবে অতটাও সচ্ছল নন। কঠিন পরিশ্রম আর ভাগ্যের জোরে সেই ২ বন্ধুর কপাল হিরের মত চমকাচ্ছে।
মধ্যপ্রদেশের পান্না ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে অনুন্নত একটি জেলা যা হিরের খনির জন্য বিখ্যাত। সেখানেই স্থানীয় বাসিন্দারা হিরের আশায় সরকারের কাছ থেকে স্বল্পমূল্যে ছোট্ট এক টুকরো জমি ইজারা নেন। তবে সকলেই সৌভাগ্যবান হন না। বহুদিন ধরে চেষ্টা করেও অনেকেই হিরের দেখা পান না।
সতীশ এবং সাজিদও বাকিদের অনুসরণ করে হিরের আশায় এক টুকরো জমি ইজারা নিয়েছিলেন। আশা ছিল ছোট মাপের কোনও দামি পাথর পেলেও পরিবারের আর্থিক সমস্যা মিটবে। তাই প্রতিদিন তাঁরা হিরের খোঁজে মাটি খুঁড়তেন। খুব কম সময়ে ভাগ্যদেবীও সহায় হন।
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাটি খুঁড়ে তাঁরা একটি পাথর পান। ২ বন্ধু সেটি স্থানীয় আধিকারিকের কাছে নিয়ে যান। পাথরটি পরীক্ষা করে আধিকারিক জানান সেটি ১৫.৩৪ ক্যারেটের একটি ব্যতিক্রমী হিরে। বর্তমান বাজারদর হিসাবে যার দাম উঠতে পারে ৫৯ লক্ষ টাকা।
পান্নায় এভাবে কেউ ইজারা নেওয়া জমিতে হিরে পেলে সেটি নিলামে তোলা হয়। হিরেটির যা দাম ওঠে তার একটি অংশ ইজারাদারকে দেওয়া হয়। সতীশ এবং সাজিদও সেই টাকা পাবেন। টাকা পেলে নিজেদের জীবনকে সুন্দর করে তোলার আগে তাঁরা বোনেদের বিয়েটা দিতে চান। পালন করতে চান দাদার দায়িত্ব।













