অভিনব ভাবনায় নজর কেড়ে নিল ভারতের বিমানবন্দর
দেশের বিমানবন্দর থেকে সমুদ্রবন্দর অবধি সবকিছুই নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। এবার এক বিমানবন্দরে অভিনব ভাবনা নজর কাড়ল। সামনে এল দেশের প্রথম প্রকৃতি নির্ভর ভাবনার টার্মিনাল।
ভারতের অনেক রাজ্যেই বিমানবন্দরগুলিকে নতুন সাজে সজ্জিত করা হচ্ছে। যেখানে অধিকাংশ সময়ই রাজ্যের নিজস্ব হস্তশিল্প থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের নিজস্ব শিল্প সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। ফলে সেই সব বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করা যাত্রীরা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নিজস্ব বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পান।
অসমের লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদোলই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ২ নম্বর টার্মিনালকে এক নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে। ভারতের প্রথম প্রকৃতি থিম ভিত্তিক বিমানবন্দর হিসাবে এটিকে সকলের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। যাতে এই বিমানবন্দরে ঢোকা বেরোনোর সময় যে কেউ অসমের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারেন।
অসমের নিজস্ব ঐতিহ্যকে বিশ্বের দরবারে আনার জন্য বিমানবন্দরের টার্মিনালটিকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হয়েছে। যাত্রীরা আসা যাওয়ার পথে রাজ্যের প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারনা পাবেন।
পরিবেশ বান্ধব এই টার্মিনালটির বৈদ্যুতিক চাহিদা মেটাতে সৌরশক্তিকে কাজে লাগানো হয়েছে। টার্মিনালটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে দিনের বেলায় প্রচুর পরিমাণে সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারে। এমনকি এখানে জল নষ্ট না করে পুনর্ব্যবহার করার ব্যবস্থাও রয়েছে।
অসমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং স্থানীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য টার্মিনালে বাঁশ এবং অর্কিডের ব্যবহার হয়েছে। ভারতের উত্তরপূর্ব প্রান্ত থেকে প্রচুর পরিমাণে বাঁশ এনে টার্মিনালটিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
বিমানবন্দরের থামগুলিকে অর্কিডের আকারে বানানো হয়েছে। এছাড়া টার্মিনাল জুড়ে যে সবুজ অরণ্য তৈরি করা হয়েছে তাতে কাজিরাঙার বিখ্যাত একশৃঙ্গ গণ্ডারের প্রতিরূপের দেখা মিলছে।
১ লক্ষ ৪০ হাজার বর্গ মিটারের এই টার্মিনালটিতে বছরে গড়ে প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এখানে উন্নতমানের রানওয়ে, ট্যাক্সি রাখার সুবিধাজনক ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
যাত্রীদের লাগেজ যাতে সহজে জায়গা মত পৌঁছতে পারে তার জন্য উচ্চমানের যান্ত্রিক সুবিধার ব্যবস্থাও রয়েছে। ২০২৫ সালে এই বিমানবন্দরটি পরিবহণ বিভাগে আন্তর্জাতিক পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা













