National

জাতীয় সড়কে আঁকা হল সারি দিয়ে লাল খোপ, এমন রং করার পিছনে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কারণ

৪৫ নম্বর জাতীয় সড়কের একটা অংশে সারি দিয়ে লাল খোপ কাটা হল। রাস্তায় এভাবে চড়া লাল রং করার পিছনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে।

রাস্তায় প্রায়ই হলুদ কিংবা সাদা দাগ দেখতে পাওয়া যায়। এমনকি সাদা কালো ডোরাকাটা দাগও চোখে পড়ে। কিন্তু এই প্রথম কোনও রাস্তায় লাল দাগ দেখা যাচ্ছে। যা অভিনব তো বটেই, তবে তার চেয়েও বেশি কার্যকরি।

মধ্যপ্রদেশের ভোপাল এবং জব্বলপুরের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী ৪৫ নম্বর জাতীয় সড়কের জন্য ১২২ কোটি টাকা ব্যয়ের এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। সড়কটি বীরাঙ্গনা দুর্গাবতী টাইগার রিজার্ভ-এর ওপর দিয়ে গেছে। এখানে ১১.৯৬ কিলোমিটার হাইওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় অত্যন্ত স্পর্শকাতর ২ কিলোমিটার পথ জুড়ে লাল চৌখুপিগুলি কাটা হয়েছে। যেখানে বন্যপ্রাণিদের আনাগোনা বেশি।

এই সড়কে বাঘ, হরিণ সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণিরা প্রায়ই রাস্তা পারাপার করে। গত ২ বছরে বন্যপ্রাণি এবং গাড়ির মধ্যে ২৩৭টি সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত ৯৪টি বন্যপ্রাণের জীবনহানি হয়েছে।

গাড়ির গতি কমানোর চিরাচরিত ব্যবস্থা থেকে এই নতুন উদ্যোগটি একটু আলাদা। দুবাইয়ের শেখ জায়েদ সড়কপথ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এখানেও রাস্তা জুড়ে ৫ মিলিমিটার পুরু লাল চৌখুপি কাটা হয়েছে।

চৌখুপিগুলি রাস্তা থেকে সামান্য উঁচু তৈরি করা হয়েছে। যাতে গাড়িচালক গতি কমানোর সংকেত পান। ওই সামান্য উঁচু লাল দাগ দেখে গাড়িচালকরা বুঝতে পারবেন এখানে বন্যপ্রাণির আনাগোনা রয়েছে। ফলে গাড়ির গতি কম রাখতে হবে।

আবার রাস্তা ওই টেবিল টপ রেড মার্ক-এর কারণে একটু উঁচু হলেও যাতায়াতে কোনও সমস্যা হবেনা। আরামদায়ক যাত্রাই হবে। কোনও স্পিড ব্রেকার থাকবেনা। গাড়িকে আচমকা ব্রেক কষতেও হবেনা। গাড়ির গতিই এখানে কম থাকবে। ফলে বন্যপ্রাণিদের দেখলে গাড়ি সহজেই দাঁড়িয়ে পড়তে পারবে।

রাস্তার উপর এই অভিনব নকশার বিষয়টি আন্তর্জাতিক গবেষণা এবং নির্দেশিকা দ্বারা অনুমোদিত। কাজটি জাতীয় সড়ক সবুজায়ন প্রকল্পের সাথে সম্পর্কযুক্ত।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *