National

চাহিদা বেড়েই চলেছে, বিক্রিও অনেক, তবু চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে সাবান পাথর শিল্পীদের

সাবান পাথর দিয়ে তৈরি বাসনপত্রের চাহিদা বেড়েই চলেছে। ফলে এই সাবান পাথরের বাসন তৈরির সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু হচ্ছে উল্টোটা।

সাবান পাথর শিল্পীদের চিন্তার ভাঁজ পুরু হয়েই চলেছে। সম্প্রতি জিআই ট্যাগ পেয়েছে সাবান পাথর বা শিলখড়ি দিয়ে তৈরি বাসন শিল্পীদের এই অনন্য কাজ। জিআই ট্যাগ তাঁদের তৈরি জিনিসের চাহিদাও বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।

চাহিদা রয়েছে। বিক্রি হচ্ছে। বানাতে পারলে বিক্রির অভাব হবেনা। এমন এক পরিস্থিতিতে যে কোনও শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের মুখের হাসি চওড়া হওয়ার কথা। কিন্তু হচ্ছে ঠিক উল্টোটা।

এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষের মুখে হাসি নেই। বরং চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে অনেকের। আগামী দিনে এই শিল্প শেষ হয়ে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

তামিলনাড়ুর নামাক্কাল এলাকার এই প্রাচীন শিল্প চিরকালই সমাদর পেয়ে এসেছে। সাবান পাথর দিয়ে তৈরি বাসনপত্র রান্নার জন্য দারুণ কার্যকরি। এই সাবান পাথর এমন এক বিশেষ ধরনের পাথর যার ওপর হাত দিলে তা অত্যন্ত মোলায়েম বোধ হয়।

সাবানের মত মোলায়েম বলে এই পাথরকে সাবান পাথর বা সোপস্টোন বলা হয়। বাংলায় অনেকে সাবান পাথর ছাড়া একে শিলখড়িও বলেন। এই পাথর ওই নামাক্কাল এলাকার আশপাশেই পাওয়া যায়।

এখন সমস্যা হল দীর্ঘদিন ধরে এই শিল্পকার্যে ব্যবহার হওয়ায় সহজলভ্য সাবান পাথর অনেকটাই কমে গেছে। যা রয়েছে তা মাটির অনেকটা নিচে। আর রয়েছে আশপাশের জঙ্গলে। তাও আবার জঙ্গলের মধ্যে মাটি খুঁড়ে এই পাথর বার করতে হবে।

কিন্তু সেখানকার জঙ্গলে কোনও ধরনের খননকার্য নিষিদ্ধ। ফলে সেখান থেকে সাবান পাথর সংগ্রহ করাও যাচ্ছেনা। যা এই সাবান পাথর শিল্পীদের মাথায় হাত ফেলেছে। কাঁচামালের অভাব হলে এই শিল্পকে আগামী দিনে বাঁচানোই মুশকিল বলে মনে করছেন তাঁরা।

পাথর পেলে তবে তো শিল্প সৃষ্টি। সেটাই না থাকলে জিআই ট্যাগের কোনও মানে থাকেনা বলেই অভিমত শিল্পীদের। যাতে তাঁরা এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে পারেন সেজন্য প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় রূপরেখা তৈরির আবেদন করছেন শিল্পীরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *