রসগোল্লাকে কেন্দ্র করে উড়তে শুরু করল চেয়ার, খাবারের হাঁড়িকুঁড়ি হল হাতিয়ার
রসগোল্লা সুস্বাদু। অধিকাংশ মানুষেরই অত্যন্ত পছন্দের খাবার। কিন্তু সেই রসগোল্লাকে কেন্দ্র করেই এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হলেন কিছু মানুষ।
রসগোল্লা যে অনেকের প্রিয় তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। রসগোল্লা খেতে শুরু করলে অনেকের গুণতি থাকেনা। বিয়েবাড়িতে রসগোল্লা হলে তাতে টান পড়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়। সেই টানটাই পড়েছিল।
বরের বাড়ি থেকে আসা বরযাত্রীরা তাঁদের চাহিদামত রসগোল্লা পাননি। অন্তত বরের বাবা তাই দাবি করেছেন। রসগোল্লা কম পড়াকে কেন্দ্র করে বর ও কন্যাপক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়।
একটি হোটেলে খাওয়াদাওয়া এবং বিয়ের বন্দোবস্ত হয়েছিল। যেখানে খাওয়াদাওয়া চলছিল সেখানে সারি দিয়ে সাজানো খাবার থেকে পছন্দমত খাবার তুলে নিচ্ছিলেন অতিথিরা। আচমকাই সেই রসনা তৃপ্তির ফাঁকে কয়েকজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।
যেই হাতাহাতি শুরু হয় তখনই তাতে অনেকে জড়িয়ে পড়েন। বর ও কন্যাপক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুলকালাম। উড়ে আসতে থাকে চেয়ার। খাওয়াদাওয়া তখন লাটে উঠেছে। খাবারই তখন হাতিয়ার। খাবার সাজিয়ে রাখার জন্য পাত্রগুলি তুলেই একে অপরের দিকে তেড়ে যেতে থাকেন মানুষজন। যথেষ্ট হাতাহাতি চলতে থাকে।
এই ঘটনার পর পুলিশে খবর যায়। সেখানে বরপক্ষের বিরুদ্ধে পণ চাওয়ার অভিযোগ দায়ের করে কন্যাপক্ষ। যদিও বরপক্ষের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এমনকি বরের মায়ের অভিযোগ তিনি কনেকে যে গয়না দেবেন বলে নিয়ে এসেছিলেন তা কেড়ে নিয়েছে কন্যাপক্ষ।
বরপক্ষের আরও দাবি, এই ঘটনার পরও বিয়েটা হয়ে যাক সেটাই চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কন্যাপক্ষ তাতে রাজি হয়নি। ফলে বিয়ে বাতিল হয়। নিছক রসগোল্লাকে কেন্দ্র করে এমন দক্ষযজ্ঞ হয়ে যেতে পারে তা বোধহয় কেউ ভাবতে পারেননি। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বুদ্ধগয়ায়।













