স্কুল হয়ে মন্ত্রীর বাড়ি, সেখান থেকে অন্যদের বাড়ি, এলাকা কাঁপিয়ে দিল একটি লেপার্ড
শহরের সবচেয়ে বর্ধিষ্ণু জনপদ। যেখানে ধনী মানুষদের সঙ্গে নেতা মন্ত্রীদের বাড়িও। সেই জনবহুল পাড়ায় ঢুকে পড়ল একটি লেপার্ড। ঢুকে পড়ল খোদ মন্ত্রীর বাড়িতেই।
এই এলাকাটাই সকলের জন্য। এখানে বাস করেন শহরের সবচেয়ে নামীদামী মানুষজন। থাকেন নেতা, মন্ত্রীরাও। এখানেই রয়েছে একটি স্কুলও। সব মিলিয়ে এলাকাটি অত্যন্ত বর্ধিষ্ণু বলেই খ্যাত।
সেখানেই এক লেপার্ডের তাণ্ডবে আতঙ্ক ছড়াল। বাড়ি থেকে বার হওয়া দূরে থাক, অনেকেই বাড়ির বারান্দা বা ছাদে নিজেদের বন্দি করে রাখেন। যাতে তাঁদের ওপর লেপার্ড ঝাঁপিয়ে না পড়তে পারে।
ভারতে অনেকে লেপার্ডকেই চিতাবাঘ বলে থাকেন। যদিও চিতাবাঘের সঙ্গে এ বাঘের কিছুটা হলেও ফারাক আছে। সকালে এই লেপার্ডটিকে দেখা যায় ব্লসম সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের মাঠে ঘুরতে। তখনই এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। সবাই বাড়িতে নিজেদের লুকিয়ে ফেলেন।
এদিকে লেপার্ডটি সেখান থেকে ঢুকে পড়ে পাশেই থাকা মন্ত্রী সুরেশ সিং রাওয়াতের বাংলোয়। জয়পুরের ভিভিআইপি সিভিল লাইনস এরিয়ার রূপ নগর কলোনিতে তখন আতঙ্কের পরিবেশ।
মন্ত্রীর বাড়িতে লেপার্ড ঘুরছে। সেটা সামাল দিতে সেখানে বনকর্মীরা আসতে দেরি করেননি। কিন্তু তাঁরা সেখানে যাওয়ার আগেই লেপার্ডটি মন্ত্রীর বাড়ি ছেড়ে তাঁর পাশের বাড়িতে হাজির হয়।
এমন করে সে একের পর এক বাড়িতে ঢুকতে থাকে। এদিক ওদিক ঘুরতে থাকে। তাকে পাকড়াও করতে বনকর্মীরাও হাতে ঘুমপাড়ানি ওষুধের বন্দুক নিয়ে ছুটতে থাকেন লেপার্ডের পিছন পিছন।
এভাবে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে লেপার্ড ও বন কর্মীদের মধ্যে লুকোচুরি চলার পর অবশেষে লেপার্ডটিকে ঘুমপাড়ানি ওষুধের বন্দুক কাবু করতে সমর্থ হয়। ওষুধের প্রভাবে ঝিমিয়ে পড়ে লেপার্ডটি।
এরপর তার কাছে পৌঁছে তাকে ধরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। ২ ঘণ্টার চেষ্টায় বেলা ১১টা নাগাদ তাকে ধরতে পারেন বনকর্মীরা। যে মন্ত্রী সুরেশ সিং রাওয়াতের বাড়িতে লেপার্ডটি প্রবেশ করেছিল তার ঠিক উল্টোদিকেই কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলটের বাড়ি। এমন এক হুজ হু-তে ভরা এলাকায় একটি লেপার্ডের প্রবেশ গোলাপি শহর জুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা













