৩ বছরে ১ টাকাও বিদ্যুতের বিল মেটাতে হয়নি, অসাধ্য সাধন করে দেখালেন এই এলাকার মানুষ
এদেশেই এমন এক জায়গা রয়েছে যেখানকার একজন বাসিন্দাকেও গত ৩ বছরে ১ টাকা বিদ্যুতের বিল মেটাতে হয়নি। তার মানে এই নয় যে তাঁরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করেননি।
বিদ্যুতের ব্যবহারে মানুষের জীবন সহজ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু চড়া বিল মেটাতে গিয়ে নাজেহাল হন অনেকেই। কিন্তু এই দেশেই এমন এক জায়গা রয়েছে যেখানকার একজন বাসিন্দাকেও গত ৩ বছরে বিদ্যুতের বিল মেটাতে হয়নি।
তারমানে এই নয় যে সেখানকার মানুষ কোনও বিশেষ সুবিধা ভোগ করেন বা তাঁদের বিল অন্য কেউ মিটিয়ে দেয় বা সরকার তাঁদের বিদ্যুতের বিল মাফের ব্যবস্থা করেছে। তাহলে এই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন কীভাবে এখানকার মানুষ? এখানেই লুকিয়ে আছে অন্য ব্যবস্থা।
গুজরাটের আমরোলিতে দুধালা নামে একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে প্রতিটি বাড়ির বাসিন্দা সারাবছর তাঁদের প্রয়োজনমত বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। কোনও কার্পণ্য না করেই। তবু তাঁদের গত ৩ বছরে ১ টাকাও বিদ্যুতের বিল মেটাতে হয়নি।
এখানকার বাসিন্দারা সৌরশক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ পাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। গ্রামের ৪০০টি ঘরের প্রায় ২ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা নিজেদের বাড়ির ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়েছেন।
দুধালার বাসিন্দারা নিজেদের চেষ্টায় গোটা গ্রামকে সৌরশক্তি চালিত গ্রামে পরিণত করেছেন। এখন তাঁরা গোটা এলাকায় এক উদাহরণে পরিণত হয়েছেন। সবচেয়ে বড় সুবিধা এরফলে গত ৩ বছরে গ্রামের একজনকেও ১ টাকা বিদ্যুতের বিল গুনতে হয়নি।
আগে বিদ্যুতের বিল দেওয়ার জন্য প্রতি মাসে গ্রামবাসীদের ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা অবধি খরচা হত। খরচ কমাতে অধিকাংশ সময়ই তাঁরা আলো, পাখা, ফ্রিজের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতেন। কিন্তু এখন তাঁরা নির্ভাবনায় রাতে ঘুমোতে পারেন।
দুধালার একজন ব্যবসায়ী গোবিন্দভাই ঢোলকিয়া নিজের খরচায় পুরো গ্রামে সোলার প্যানেল বসানোর পরেই এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। গ্রামবাসীরা এখন নিশ্চিন্তে নিজেদের ইচ্ছামত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেন। উল্টে সারাদিন ব্যবহারের পরেও কিছু পরিমাণ বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকে।
উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ গ্রিডের কাছে বিক্রি করে গ্রামবাসীরা অতিরিক্ত আয়ও করতে পারছেন। দেশের মধ্যে সৌরশক্তি চালিত প্রথম মডেল গ্রাম হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে দুধালা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের ভর্তুকির সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে সব গ্রামই দুধালার মত হতে পারবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা













