মায়ের স্মৃতিতে গ্রামের ২৯০ জন কৃষকের ৩০ বছরের কষ্ট মুছে দিলেন ওই গ্রামেরই ছেলে
এ এক মহৎ কাজ। গত ৩০ বছর ধরে গ্রামের ২৯০ জন কৃষক চিন্তায় রাতে ভাল করে ঘুমোতেও পারতেন না। তাঁদের সব দুঃখ এক লহমায় মুছে দিলেন তাঁদের গ্রামের ছেলে।
১৯৯৫ সালে গ্রামের কৃষকদের নামে একের পর এক ঋণ হয়। যা গ্রামেরই এক কোওপারেটিভ-এর কর্তারা করেছিলেন। গ্রামের মানুষকে ঋণের জালে জর্জরিত করে তাঁরা টাকা হাতিয়ে চম্পট দেন। আর গোটা গ্রামটা ঋণের জালে জড়িয়ে যায়।
তারপর বছরের পর বছর কেটেছে। কিন্তু গ্রামের মানুষ ওই ঋণের জাল থেকে মুক্তি পাননি। মুক্তি তো পানইনি, বরং উত্তরোত্তর ঋণের ওপর সুদের বোঝা বাড়তেই থাকে। এত বড় অঙ্কের ঋণ চুকিয়ে দেওয়ার মত অর্থের জোর তাঁদের নেই। তাই তাঁদের জন্য এই কষ্ট যন্ত্রণা বুকে করে বেঁচে থাকাটাই অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল।
এভাবেই কেটে যায় ৩০টা বছর। ওই গ্রামেরই এক সন্তান এখন বড় ব্যবসায়ী। গুজরাটের জিরা গ্রামের সেই সন্তান বাবুভাই জিরাওয়ালা জানান, তাঁর মা গ্রামের মানুষদের এই ঋণের যন্ত্রণায় কষ্ট পেতেন। তিনি তাঁর গয়নাগাটি বেচেও এই ঋণ গ্রামের মানুষের হয়ে শোধ করতে চেয়েছিলেন।
সেটা তাঁরা ২ ভাই ভুলে যাননি। আজ আর তাঁদের মা নেই। তবে তাঁর প্রয়াণবার্ষিকীতে ছেলে হিসাবে মায়ের ইচ্ছা তাঁরা পূরণ করেছেন। ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা গ্রামের ২৯০ জন কৃষকের যাবতীয় ঋণ শোধ করে দিয়েছেন।
গোটা গ্রাম এখন ঋণমুক্ত। এজন্য তিনি ও তাঁর ভাই মিলে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। এই টাকাই সাকুল্যে জমেছিল কৃষকদের ঋণ হিসাবে। এখন জিরা গ্রামের প্রতিটি কৃষক ঋণমুক্ত। গ্রামের ছেলের এই মহৎ উদ্যোগে বেজায় খুশি জিরা গ্রামের মানুষজন।













