পকেটে কিউআর কোড লাগিয়ে ঘুরছেন পাত্রীর বাবা, ছবি ঘিরে চর্চা তুঙ্গে
একটি বিয়েবাড়ি। সেখানে যিনি কনে তাঁর বাবা আমন্ত্রিতদের সাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছিলেন। তাঁর পকেটে লাগানো ছিল একটি কিউআর কোড।
একটা উপহারের মধ্যে মিশে থাকে ভালবাসা আর আশির্বাদ। যে কোনও অনুষ্ঠানেই উপহার দেওয়ার রীতি রয়েছে। সেই উপহারের ধরনও ভিন্ন ভিন্ন হয়। কেউ চিরাচরিত রংচঙে কাগজের মোড়কে করে উপহার দেন। কেউ আবার টাকা দিতেই পছন্দ করেন।
ব্যস্ত জীবনে অনেকেই কর্মক্ষেত্র থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাধ্য হন। তাই কেউ আর হাতে করে উপহার বহন করেন না। অনেকেরই উপহার কেনার সময়ও থাকেনা। আবার যাঁকে দিচ্ছেন তাঁর উপহার পছন্দ নাও হতে পারে ভেবে অনেকে টাকা দেন।
কেরালার একটি বিয়েবাড়িতে এক ভদ্রলোক সকলের নজর কেড়েছেন। বিয়েবাড়িতে আগত সকল অতিথিকেই তিনি হাতজোড় করে নমস্কার জানিয়ে আপ্যায়ন করছিলেন। তবে মাঝে মাঝেই কিছু অতিথি নিজেদের মোবাইল ফোনটি তাঁর সামনে তুলে ধরে কিছু একটা করছিলেন।
ওই ভদ্রলোক আসলে পাত্রীর বাবা। তাঁর পরনে ছিল সাদা শার্ট, ধুতি। চোখে চশমা। আর সেই শার্টের পকেটে লাগানো ছিল একটি কিউআর কোড। বিয়েবাড়িতে আগত অতিথিদের মধ্যে অনেকেই ওই কোড স্ক্যান করে কনেকে উপহার দিচ্ছিলেন। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। তবে এর সত্যতা নীলকণ্ঠ ডট ইন যাচাই করতে পারেনি।
ক্যাশলেস লেনদেনের যুগে অনেকেই আর পকেটে টাকা নিয়ে ঘোরেন না। খামেও যাতে টাকা আনতে না হয় সেজন্য কনের বাবাও হয়ত যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এই ব্যবস্থা করেছিলেন। তাঁর পকেটে সাঁটা কোডটি স্ক্যান করে অতিথিরা যাতে সহজেই কনেকে ডিজিটাল উপহার দিতে পারেন তার জন্যই এই ভাবনা।
সমাজ মাধ্যমে এই পোস্ট ছড়িয়ে পড়তেই হইচই শুরু হয়ে যায়। কেউ বলছেন শুধুমাত্র প্রচারের আলোয় আসতেই ভদ্রলোক এমন কাজ করেছেন। কারও মতে অনুষ্ঠানে এভাবে বুকে কিউআর কোড সেঁটে নিমন্ত্রিতদের থেকে টাকা নেওয়াটা খুবই লজ্জার। আবার অনেকে তাঁকে সমর্থনও করেছেন।













