কয়েকশো সন্তানের পিতা, বিধায়কের সঙ্গে একটা ছবি তোলার জন্য পড়ে লম্বা লাইন
ভারতীয় গণতন্ত্রে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে অন্যতম হলেন বিধায়করা। অনেক বিধায়ক নিজের দায়িত্ব সামলাতে অনেকসময় হিমশিম খেয়ে যান। অথচ এমনও এক বিধায়ক আছে যে কোনও দায়িত্বপালন না করেও সমাজে বিখ্যাত।

দায়িত্ব এবং সম্মানের এক মিশেল হল বিধায়কের জীবন। তবে কোনও এক বিশেষ বিধায়কের জীবনে কাজ নয় রয়েছে শুধুই খ্যাতির বিড়ম্বনা। চারপাশে তার এতই নামডাক যে লোকজন তাকে দেখলেই ছুটে আসেন। আগ্রহী হয়ে ওঠেন তার সাথে সেলফি তুলতে।
বিধায়কের চেহারা এবং মর্যাদা দেখলে যে কেউ অবাক হয়ে যান। তার সাথে ছবি, ভিডিও তোলার জন্য ভিড় জমে যায়। তার রাজকীয় জীবন যাপন, এলাহি খাওয়াদাওয়া দেখে রীতিমত চমকে যান অনেকে। এই বিধায়ক কোনও মানুষ নয়। বরং একটি মহিষ। নিজের নামের মান রেখে সে সত্যিই বিধায়কের মতই উচ্চস্তরের জীবন যাপন করে।
সম্প্রতি আয়োজিত একটি কৃষি মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল বিধায়ক নামের এই ৭ বছর বয়সী মহিষটি। মেরঠের ওই মেলায় বিধায়ক নামে হরিয়ানার মুরা প্রজাতির মহিষটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অসাধারণ চেহারা, প্রজনন ক্ষমতা এবং শক্তির কারণে বিধায়ক অসংখ্য প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জিতেছে।
বিধায়কের সন্তানদের দুগ্ধ উৎপাদন ক্ষমতা অন্যান্য সাধারণ মহিষের তুলনায় অনেক বেশি। তারা প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ লিটার অবধি দুধ দিতে পারে। বিধায়কের প্রতিপালক নরেন্দ্র সিং মহিষটিকে নিয়মিত কাজু, কাঠবাদাম, ঘি ইত্যাদি খাওয়ান। চমৎকার পশুপালনের জন্য তিনি পদ্মশ্রী সম্মানেও ভূষিত হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে এই মহিষের দাম এর বীর্যের গুণমান দ্বারা নির্ধারিত হয়। এখনও পর্যন্ত এই মহিষের বীর্য প্রায় ৮ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুধুমাত্র বিধায়কের বীর্য বিক্রি করেই নরেন্দ্র সিং বার্ষিক ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা আয় করেন।
বিভিন্ন রাজ্য থেকে মেলায় আসা কৃষক এবং পশু প্রতিপালকরা বিধায়কের বীর্য কিনে নিয়ে যান যাতে তার বীর্য কাজে লাগিয়ে তাঁদের গোয়ালের মহিষরা এমন শক্তিধর হয়।