National

একটু উষ্ণতার জন্য হাজার মাইল পার করে ওরা অনেক আগেই ঢুকে পড়ল ভারতে

কিছুটা অবাক করা তো বটেই। একটু উষ্ণতার ছোঁয়া পেতে প্রতিবছরই তাদের যাতায়াত। তা বলে এত আগে তাদের কখনও আসতে দেখা যায়না। এবার সেটাই অবাক করছে।

হাজার হাজার মাইল পথ পার করতে হয়। সকালে তাদের পথ দেখায় সূর্য। রাতে চাঁদ, তারা। তাছাড়া দিগন্তের আলোর রেখা তাদের সঠিক দিক নির্ণয় করতে সাহায্য করে। তাই সে চিন হোক বা সাইবেরিয়া, পূর্ব ইউরোপ হোক বা মধ্য এশিয়া, ভারতে পৌঁছনোর পথ চিনতে তাদের অসুবিধা হয়না।

তারা শৃঙ্খলা পরায়ণ। তাদের মধ্যে যার বয়স সবচেয়ে বেশি, সেই পথ দেখায়। আকাশে ডানা মেলার সময় সেই থাকে সবার সামনে। তাকে অনুসরণ করে বাকিরা। তারপর হাজার হাজার মাইল পার করে তারা পৌঁছয় কাশ্মীর উপত্যকায়।

লক্ষ্য জলভাগ। সেখানে যেসব দিঘি, ঝিল রয়েছে সেখানে তারা ভিড় জমায়। কারণ কাশ্মীরের সেই ঝিল বা দিঘির জলে তারা উষ্ণতার খোঁজ পায়। আর সেই টানেই প্রতিবছর তারা এত পরিশ্রম করে হাজার হাজার মাইল পার করে।

পরিযায়ী পাখিদের এই প্রতিবছর ভারতে আসা, একই জায়গায় নির্ভুলভাবে পৌঁছে যাওয়ার একটা সময় আছে। সেটা মোটামুটি নভেম্বর মাস। তবে এবার কাশ্মীরের বিভিন্ন পাহাড়ের মাথা বরফে ঢাকতে শুরু করেছে এখনই।

এবার তাই এই পরিযায়ী পাখিরাও একটু আগেই এখানে এসে হাজির হয়েছে। অক্টোবরের শুরুতেই এই পাখিরা হাজির হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৬ লক্ষের ওপর পরিযায়ী পাখি তাদের গ্রীষ্মকালীন ঠিকানা ছেড়ে কাশ্মীরের বিভিন্ন জলভাগে ভিড় জমিয়েছে।

আরও ৬ লক্ষের ওপর পাখি বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে হাজির হবে কাশ্মীরে। নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে তাদের এই আগমন পালা। কাশ্মীরে তারপর যখন প্রবল ঠান্ডা পড়বে, তখন সেসব ঝিল, দিঘিও বরফের আস্তরণে চাপা পড়বে।

এই পাখিরাই তখন ভারতের আরও ভিতরের দিকে ঢুকে আসবে। আশ্রয় নেবে সমতলের বিভিন্ন জলভাগে। একটু উষ্ণতার জন্য। তারপর শীত কেটে যখন বসন্ত আসবে। তখন তারা ফের ফিরে যাবে হাজার হাজার মাইল পার তাদের ঠিকানায়। আবার ১ বছরের অপেক্ষা। অপেক্ষা হেমন্তের। তারপর আবার কয়েক হাজার মাইল ওড়ার পালা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *