পাথরে টোকা মারলে পাওয়া যায় ঘণ্টার আওয়াজ, বিস্ময় পাথর ছুঁতে পাহাড়ে চড়েন বহু মানুষ
প্রকৃতির ভান্ডারে অদ্ভুত জিনিসের অভাব নেই। তেমনই এক বিস্ময় এই পাথর। যা ভারতেরই একটি পাহাড়ের ওপর রয়েছে। যে পাথরে টোকা দিলে ঘণ্টার মত আওয়াজ বার হয়।

পাহাড়ের ওপর একটি মন্দিরে এক অদ্ভুত ধরনের পাথর রয়েছে। দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ পাথরের মতই। কিন্তু বৈশিষ্ট্যে সে বাকি সব পাথরের থেকে একদম আলাদা। অন্যান্য পাথরের ভিড়ে মিশে থাকলে তাকে আলাদা করে চেনা মুশকিল। শুধুমাত্র শব্দ দিয়েই তাকে আলাদা করা সম্ভব।
বিশেষ ধরনের এই পাথরটি থেকে একরকম ধাতব আওয়াজ বার হয়। পাথরের গায়ে আঘাত করলেই পাওয়া যায় ঘণ্টার শব্দ। মধ্যপ্রদেশের রতলাম শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বেরছা গ্রাম। ওই গ্রামেরই একটি প্রাচীন পাহাড়ের ওপর রয়েছে অম্বে মাতা মন্দির। মন্দিরটি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই পাথরটিকে দেখতে পাওয়া যায়।
মন্দিরটি অনেক পুরনো। কিন্তু দুর্গম জায়গায় অবস্থানের কারণে কেউ এর খোঁজ জানতেন না। বহু বছর আগে এক গ্রামবাসী প্রথম মন্দিরটির খোঁজ পান। সেই অম্বে মাতা মন্দিরের কাছেই এই বিস্ময় পাথরের খোঁজ পান তিনি।
পরবর্তীকালে এখানে পুজো দেওয়া, পুজোর সামগ্রি নিয়ে আসা, নিজেদের এবং সাধুদের যাতায়াতের সুবিধার কথা মাথায় রেখে গ্রামবাসীরাই একটি সরু রাস্তা তৈরি করেন। মন্দির সংলগ্ন এলাকায় এরকম একটি পাথরের খোঁজ পাওয়াকে মানুষ দেবীর আশির্বাদ বলেই মনে করেন।
পাথরটিকেও ঈশ্বরজ্ঞানে পুজো করেন অনেকে। পাথর থেকে ধাতব শব্দ বা ঘণ্টার শব্দ শুনতে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে বাইরে থেকেও বহু পর্যটক এসে ভিড় জমান এখানে।
পাথরে আঘাত করার ফলে ঘণ্টার শব্দ পাওয়া যায় বলে স্থানীয় মানুষজন বিষয়টিকে অলৌকিক বলে ব্যাখ্যা করেন। বিজ্ঞানে এই ধরনের পাথরকে বলা হয় লিথোফোন। লিথো মানে পাথর আর ফোন মানে শব্দ। তবে ব্যাখ্যা যাই হোক না কেন, এই পাথরটি কিন্তু মন্দিরের এক বিস্ময় হিসাবেই চিহ্নিত হয়।