বাড়ির অজান্তে বাইক দুর্ঘটনায় ইতি, গরুড় কবচ বানিয়ে তাক লাগাল স্কুল পড়ুয়ারা
বাড়ি থেকে কেউ স্কুটার বা বাইক নিয়ে বার হলে পরিবারের মানুষজনের একটা চিন্তা তো থাকেই। এবার সেই চিন্তা থেকে তাঁরা মুক্তির পথ পেলেন স্কুল পড়ুয়াদের মেধায়।

তারা মেধাবী। তারা নতুন যুগের কাণ্ডারি। তারাই ভবিষ্যৎ ভারত। সেটা একদল স্কুল পড়ুয়া ফের একবার প্রমাণ করে দিল। ভারতে বাইক বা স্কুটারে বহু মানুষ যাতায়াত করেন। সকলের পক্ষে গাড়ি কেনা সম্ভব নয়। তবে একটা বাইক কেনার টাকা অনেকেই ব্যবস্থা করে নিতে পারেন।
এখন আবার ইএমআইয়ের সুবিধা তো আছেই। ফলে মানুষের বাইক বা স্কুটার কেনার আগ্রহ বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই দ্বিচক্রযানের দুর্ঘটনার সংখ্যাও বাড়ছে।
অনেকসময়ই পথ নিরাপত্তা সম্বন্ধে মানুষকে অবহিত করতে পুলিশ প্রশাসন থেকে স্থানীয় প্রশাসন, রাস্তায় নেমে প্রচার করে। তবু বাড়ির কোনও সদস্য স্কুটার বা বাইক নিয়ে বার হলে পরিবারের মানুষের একটা দুশ্চিন্তা মনের কোণে থেকেই যায়।
আরও বড় সমস্যা হল যদি বাইক বা স্কুটার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। যদি তা কোনও ফাঁকা জায়গায় হয়, তাহলে অনেকসময় দুর্ঘটনার বিষয়টি জানতে জানতেই অনেক দেরি হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আরোহীকে বাঁচানো দায় হয়।
বারাণসীর একটি বেসরকারি স্কুলের কয়েকজন পড়ুয়া মিলে একথা মাথায় রেখে একটা সুরাহার বন্দোবস্ত করেছে। তারা একটি বিশেষ ধরনের হেলমেট তৈরি করতে পেরেছে। আর পাঁচটা সাধারণ হেলমেটের সঙ্গে দৃশ্যত এর কোনও ফারাক নেই।
তবে এই হেলমেট মাথায় থাকলে যদি সেই বাইক বা স্কুটার আরোহী দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাহলে হেলমেট নিজে থেকেই তাঁর বাড়িতে খবরটি পাঠিয়ে দেবে। এমার্জেন্সি কল, মেসেজ পৌঁছে যাবে বাড়ির লোকের কাছে।
সেই সঙ্গে ঠিক কোথায় বাইকটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে সেই জায়গার লাইভ লোকেশনও পৌঁছে যাবে বাড়িতে। আর সেটা হবে দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে। সেক্ষেত্রে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
এতে অনেক বাইক আরোহী দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর দ্রুত চিকিৎসাও পাবেন। তাঁদের প্রাণ রক্ষার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে। এই বিশেষ ধরনের হেলমেটে থাকছে ব্লুটুথ এবং বিশেষ ধরনের সেন্সর। যা বাইক আরোহীর পরিবারকে দ্রুত সতর্ক করতে পারবে। পড়ুয়ারা এর নাম দিয়েছে গরুড় কবচ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা