বাড়িতে সব বৈদ্যুতিন যন্ত্র চালিয়েও ১ টাকা বিলের খরচ নেই, নতুন আলো দেখাচ্ছে সূর্য ঘর
বিদ্যুৎ বিলের ব্যয়ভার অবশ্যই সাধারণ মানুষের কাছে একটা বাড়তি বোঝা। কিন্তু এখন বাড়িতে চুটিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যেতে পারে ১ টাকাও বিল না মিটিয়ে।

নিয়মিত বিদ্যুতের চড়া বিল নিয়ে মানুষের অভিযোগের কোনও শেষ নেই। হাজার চেষ্টা করেও এই অতিরিক্ত ব্যয়ভার থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পাওয়া যায়না। আর গরমের সময় তো কথাই নেই। এসি বা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের হাত ধরে তখন চড়চড় করে বিল বাড়তেই থাকে।
এখন কিন্তু এই সমস্যা থেকে রেহাইয়ের একটা রাস্তা পাওয়া গেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে শুরু হওয়া সূর্য ঘর যোজনার কারণে মানুষের জীবনে নতুন আশার সঞ্চার হতে চলেছে। এই প্রকল্পের অধীনে শুধু বিদ্যুতের বিল থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এমনটা নয়, বরং নিজের বাড়িতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ জমলে তার বিনিময়ে উপার্জনও করা যাবে।
ছত্তিসগড়ের বলরামপুর জেলার এক বাসিন্দা এই প্রকল্পের সুবিধার এক অসামান্য উদাহরণ। তিনি নিজের বাড়ির ছাদে ৩ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার প্যানেল বসিয়েছেন। আগে বিদ্যুতের অস্বাভাবিক বিলের বোঝায় তিনি নাজেহাল হয়ে যেতেন। এখন সৌর বিদ্যুতের কারণে তাঁর বিদ্যুতের চাহিদা অনায়াসে মিটে যাচ্ছে।
ওই ব্যক্তি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই তিনি এই প্রকল্প সম্পর্কে জানতে পারেন। তিনি সাথে সাথেই আবেদন করেন।

এই প্রকল্পের অধীনে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার থেকে ৭৮ হাজার এবং রাজ্যসরকার থেকে ৩০ হাজার টাকা ভর্তুকি পেয়েছেন। আবার ব্যাঙ্ক থেকেও সহজ কিস্তির সুবিধা পেয়েছেন।
আবেদন করার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর বাড়িতে সোলার প্যানেল বসানো হয়। এখন ওই ব্যক্তি প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিলের চিন্তা থেকে মুক্তি লাভ করেছেন। এছাড়া অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপন্ন হলে ভবিষ্যতে তা বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে বিক্রি করে তাঁর নতুন আয়ের রাস্তাও তৈরি হয়েছে।
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য গোটা দেশের মানুষকে সস্তায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দেওয়া। কেন্দ্র এবং রাজ্যসরকারের ভর্তুকির সাথেই ব্যাঙ্কও সহজ কিস্তির সুবিধা দেওয়ায় মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তরাও এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। বিদ্যুৎ দপ্তরও বিভিন্ন শিবিরের আয়োজন করে জনগণকে এই প্রকল্পের বিষয়ে সচেতন করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা