রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িকে বিশেষ সম্মান ওড়িশায়, পুরী ভ্রমণে জুড়ছে নতুন আকর্ষণ
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়ি নিয়ে পরিকল্পনা চলছিল। অবশেষে তাকে বিশেষ সম্মান দিচ্ছে ওড়িশা সরকার। আগামী দিনে পুরী বেড়াতে গেলে এবার এটাও জুড়বে দেখার তালিকায়।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারের কথা সকলের জানা। এক বর্ধিষ্ণু পরিবারে তাঁর বড় হয়ে ওঠা। ঠাকুর পরিবারকে সম্ভ্রমের নজরেই দেখতেন সকলে। সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক সম্পত্তি নানা জায়গায় রয়েছে। যার একটি রয়েছে পুরীতে।
পুরীতে রয়েছে কবিগুরুর পৈতৃক নিবাস ‘পথের পুরী’। এই বাড়িটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত। এতদিন তা কেবল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক নিবাস হিসাবে থাকলেও এবার তা অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছে। সৌজন্যে ওড়িশার ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি দফতর।
এই দফতরের তরফে অনেকগুলি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে যে এই পথের পুরী ভবনটিকে কেবল রক্ষণাবেক্ষণই করা হবেনা, সেটিকে একটি মিউজিয়ামের রূপ দেওয়া হবে।
নোবেলজয়ী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই ভবনকে তাঁরই নানা চিহ্নে ভরিয়ে সেটিকে মিউজিয়ামের রূপ দেওয়া হবে। যেখানে প্রবেশ মানে রবীন্দ্রনাথকে ফের একবার নানাভাবে খুঁজে পাওয়া।
বাড়িটি মিউজিয়ামে রূপান্তরিত হলে সেটির রক্ষণাবেক্ষণ যেমন নিয়মিত হবে, তেমনই তা চিরদিনের জন্য একটি পর্যটনকেন্দ্রের রূপ নেবে। বহু মানুষ সেখানে গিয়ে রবীন্দ্রনাথকে আবার করে জানার চেনার সুযোগ পাবেন।
পুরীতে জগন্নাথদেবের মন্দির দর্শন, জগন্নাথদেবকে দর্শন, সমুদ্রের ধারে ঘোরা, এগুলি সবার কাছেই প্রথম পছন্দ। তবে বাঙালির চিরদিনের পছন্দের এই পুরীতে এবার যুক্ত হল আরও একটি দেখার জায়গা। আগামী দিনে রবীন্দ্রনাথের পৈতৃক ভবনটিও ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা