বিরলতম প্রাপ্তির হাত ধরে দেশের মুকুটে নতুন পালক, শীতল মরুতে প্রাণের সহবাস
এ এক বিরলতম প্রাপ্তি সন্দেহ নেই। ভারতের ক্ষেত্রে এই সম্মান প্রথম শিকেয় ছিঁড়ল। যা এল শীতল মরুতে প্রাণের সহবাসের হাত ধরে।

কোনও জায়গার একান্ত নিজস্ব বাস্তুতন্ত্র, জলবায়ু, পরিবেশ, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য, এগুলিকে সযত্নে রক্ষা একটা বড় দায়িত্ব। যা পালন করে এসেছে হিমাচল প্রদেশ সরকার।
সেই সঙ্গে সেই জায়গার জীবজগত ও জীব বৈচিত্র্যের সঙ্গে নিজেদের এক সুন্দর সহাবস্থান বজায় রেখে চলেন স্থানীয় মানুষজন। তাও আবার বছরের পর বছর, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে।
এটাই চলে আসছে হিমাচল প্রদেশের স্পিতি উপত্যকার লাহুল স্পিতি জেলায়। এই জায়গা পুরোটাই বরফে আবৃত। এক প্রবল শীতল স্থান। এখানেই শীতল মরুতে জীবকুলের সংরক্ষণ বা ইংরাজিতে বললে কোল্ড ডেজার্ট বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ-এর তকমা পেল এই অঞ্চল।
ইউনেস্কো-র এমএবি বা ম্যান অ্যান্ড দ্যা বায়োস্ফিয়ার-এর তরফ থেকে এই সম্মান এই প্রথম ভারতের কোনও কোল্ড ডেজার্ট-এর জন্য মিলল। এটা ভারতের জন্য অবশ্যই বিশ্বের দরবারে এক বিরল প্রাপ্তি।
৭ হাজার ৭৭০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে শীতল এলাকা ও সেখানকার জীবকুলের সংরক্ষণ বিশেষ স্বীকৃতি অর্জন করে নিল। এই এলাকার মধ্যে সিংহভাগকেই ধরা হয় স্পিতি ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশন।
এখানেই ছড়িয়ে আছে নানাধরনের পশুপাখি। যাদের সঙ্গে এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সখ্যতা বহু প্রাচীন। ৩ হাজার ৩০০ মিটার থেকে ৬ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় এই জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য ভারতের ঝুলিতে এল আরও এক বিরল সম্মান।
প্রসঙ্গত এই অঞ্চল অন্য প্রাণিদের সঙ্গে ব্লু শিপ বা নীল ভেড়া বা ভরালদের মুক্তাঞ্চল হিসাবে বিখ্যাত। যেখানে তারা নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা