স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার পর ভয়ে পেয়ারা গাছে রাত কাটালেন গৃহবধূ
এ এক অবাক করা ঘটনা। স্বামীর সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়েছিল। মামুলি ঝগড়া। তার জন্য গঙ্গায় ঝাঁপ দেন এক গৃহবধূ। সেই গৃহবধূ তারপর রাত কাটালেন পেয়ারা গাছে।

ঝগড়াটা শুরু হয়েছিল চা নিয়ে। বাড়িতে চা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে মামুলি অশান্তি যে তাঁকে রাতারাতি এক সারাজীবন মনে রাখার মত অভিজ্ঞতা উপহার দেবে তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি বছর ৩৫-এর ওই গৃহবধূ।
স্বামীর সঙ্গে চা নিয়ে ঝগড়ার পারদ ক্রমশ চড়ার পর একসময় ওই গৃহবধূর সহ্যের সীমা পার হয়ে যায়। তিনি রেগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর সটান হাজির হন গঙ্গার পারে।
সেখানে পৌঁছে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার জন্য গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। রাতের অন্ধকারে গঙ্গার জলে ঝাঁপ দেওয়ার পর কিন্তু তাঁর আর ডুবে ওঠা হল না। ওই মহিলা গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার পর বুঝতে পারেন তাঁর দিকে কোনও একটা কিছু এগিয়ে আসছে।
একটু সজাগ হতেই তিনি বুঝতে পারেন একটা কুমির তাঁর দিকে এগোচ্ছে। তখনই ডুবে নিজেকে শেষ করার পরিকল্পনা থেকে সরে এসে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা শুরু করেন তিনি। গঙ্গার জল ছেড়ে দ্রুত ডাঙায় ওঠার জন্য তিনি সাঁতার কাটতে থাকেন। বুঝতে পারেন তাঁকে ধাওয়া করেছে কুমিরটি।
কুমিরের খপ্পরে পড়ার আগেই তিনি ডাঙায় উঠে আসেন। কিন্তু কুমির তো ডাঙাতেও তাঁকে সহজেই ধরে ফেলতে পারে। তাই তিনি আর কিছু না দেখে ছুটতে থাকেন।
কুমিরও ছাড়ার পাত্র নয়। একটু ছোটার পরই ওই গৃহবধূ সামনে একটি পেয়ারা গাছ দেখতে পান। গাছটি দেখার পর আর সময় নষ্ট না করে সেটাতে চড়ে যান। কুমির তো আর গাছে চড়তে পারেনা। তাই সে আর ওই গৃহবধূর নাগাল পায়নি।
কুমিরটি তখন ওই মহিলাকে পাকড়াও না করতে পারলেও সে কি ওত পেতে রয়েছে? এমন একটা আশঙ্কায় ওই গৃহবধূ নিজের প্রাণ বাঁচাতে গাছে চড়েই রাত কাটিয়ে দেন। পরদিন তাঁর ডাকাডাকি শুনে গ্রামবাসীরাই তাঁকে গাছ থেকে নামিয়ে আনেন।
মহিলা পুলিশকে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা খুলে বলেন। আগের রাতে যিনি জীবন দেওয়ার পণ করে বাড়ি ছেড়েছিলেন, তিনিই সারারাত জীবন বাঁচাতে গাছে চড়ে কাটানোর পর বাড়ি ফিরে আসেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওতে।