সিঙ্গারাই কারণ, লোকজন এনে স্বামীকে বেধড়ক মেরে হাসপাতালে পাঠালেন স্ত্রী
সিঙ্গারা যে এভাবে কাউকে হাসপাতালে পাঠাতে পারে তা এই ঘটনা সম্বন্ধে না জানলে অনেকের বিশ্বাস হতনা। স্ত্রী লোকজন জড়ো করে পেটালেন স্বামীকে।

চলতি বছরের শুরুর দিকেই বিয়ে হয়েছিল। সেভাবে দেখলে সঙ্গীতা এখনও নববধূই। সঙ্গীতা স্বামী শিবমকে সিঙ্গারা আনার জন্য বলেন। শিবম কোনও কারণে বাড়ি ফেরার সময় সিঙ্গারা না নিয়েই বাড়ি ফেরেন।
সিঙ্গারা আনতে বলা সত্ত্বেও কেন শিবম সিঙ্গারা না নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন? এ নিয়ে শুরু হয় প্রবল অশান্তি। সিঙ্গারা না পেয়ে ক্ষুব্ধ সঙ্গীতা বিষয়টির নিষ্পত্তি চেয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন।
পঞ্চায়েত ডাকা হয়। শিবম ও তাঁর পরিবার যেমন সেখানে হাজির হন, তেমনই স্ত্রী সঙ্গীতাও আসেন। তবে একা নন। ডেকে আনেন তাঁর বাপের বাড়ির অনেককে।
পঞ্চায়েতে যখন বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছিল তখন ২ পক্ষে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তখন আচমকাই সঙ্গীতা ও তাঁর সঙ্গে থাকা তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন ঝাঁপিয়ে পড়েন শিবম ও তাঁর পরিবারের লোকজনের ওপর।
আশপাশে থাকা গ্রামবাসীরা তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সে চেষ্টায় খুব বেশি কাজ হয়নি। বরং অভিযোগ, শিবমকে ধরে বেধড়ক মার মারেন স্ত্রী সঙ্গীতা ও তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন।
মারের চোটে এমন অবস্থা হয় শিবমের যে তাঁকে পরে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এদিকে শিবমের মা পুলিশের কাছে তাঁর পুত্রবধূর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটের আনন্দপুর গ্রামে।