চড়ুইপাখিকে সাহায্য করতে ৩৫ দিন অন্ধকারে ডুবে রইল একটি গ্রাম
উদ্দেশ্য বাহবার যোগ্য। কারণ একটি চড়ুইপাখিকে সাহায্য করতে ৩৫ দিন অন্ধকারে থেকে গেল একটি গ্রাম। একটি আলোও জ্বলল না।

একটি চড়ুইপাখি ৩টি ডিম পাড়ে। সেই ৩টি ডিম থেকে চড়ুইপাখির ছানা তৈরি হতে একটা সময় লাগে। ছানাদের ধাতস্থ হতে সময় লাগে। এই সময়টা একটি চড়ুইপাখিকে নিশ্চিন্তে থাকতে দিতে একটি শতাধিক পরিবারের গ্রাম সম্পূর্ণ অন্ধকারে ডুবে রইল।
সন্ধে নামার পর সে গ্রামের একটিও রাস্তার আলো জ্বলল না। আর সেটা জ্বলল না গ্রামবাসীদের একসঙ্গে নেওয়া সিদ্ধান্তে। অন্ধকারে গ্রামের পথে আলো না থাকার সমস্যা অনেক। সেসব সমস্যা সহ্য করেও ৩৫ দিন অন্ধকারে ডুবে রইল একটা গ্রাম।
শুরুটা হয়েছিল এক ব্যক্তির হাত ধরে। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা তিনি। একদিন গ্রামের যাবতীয় রাস্তার আলোর সুইচ বোর্ডের ওপর তিনি একটি চড়ুইপাখির বাসা দেখতে পান। যাতে ৩টি ডিম পেড়েছিল একটি চড়ুইপাখি।
এটা দেখেই ওই ব্যক্তি তার একটি ছবি তুলে নেন। তারপর গ্রামবাসীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছবিটি দিয়ে দেন। সকলের নজরে পড়ে সেই চড়ুইপাখির ডিম।
এখন সমস্যা হল, যে সুইচ বোর্ডের ওপর চড়ুইপাখিটি ডিম পেড়েছে সেখান থেকেই প্রতিদিন গ্রামের রাস্তার আলো জ্বালানো নেভানো হয়। গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নেন চড়ুইপাখিটি যাতে নিশ্চিন্তে ডিমগুলিতে তা দিতে পারে সেজন্য ওই সুইচ বোর্ডে হাত দেওয়া যাবেনা।
৩৫ দিন ধরে তাঁরা ওই সুইচ বোর্ডে হাতও দেননি। তার ধারেকাছেও যাননি। যাতে চড়ুইপাখিটি এতটুকু ভয় না পেয়ে সন্তানদের বড় করতে পারে। সেজন্য গোটা গ্রামটা সন্ধে নামার পর অন্ধকার গ্রামের সমস্যাগুলি মানিয়ে নেন। ঘটনাটি ঘটে তামিলনাড়ুর পোথাকুড়ির একটি গ্রামে।