মাটির তলা থেকে উদ্ধার প্রাচীন মূর্তি, স্থানীয়দের বিশ্বাস মাটির মুণ্ড মানেই বৃষ্টি
জলসেচের জন্য তৈরি জলাশয় লাগোয়া মাটির তলা থেকে উদ্ধার হল একটি সহস্রাব্দ প্রাচীন মূর্তি। তবে মূর্তিটি মুণ্ডহীন। স্থানীয়রা জানালেন মাটির মুণ্ড ও বৃষ্টির কথা।

কৃষি জমিতে জলসেচের প্রয়োজনে অনেক সময় নানা মাপের পুকুর বা জলাশয় খনন করা হয়। সেখানে বৃষ্টির জল বা খালের মাধ্যমে আনা জল জমিয়ে রাখা হয়। এমনই একটি জলাশয়ের পারের মাটি কেটে চলছিল প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের খোঁজ।
সেই মাটি কাটতে গিয়েই মাটির তলা থেকে বেরিয়ে এল একটি বুদ্ধ মূর্তি। প্রাচীন কষ্টিপাথরের তৈরি এই বুদ্ধ মূর্তিটি মুণ্ডহীন অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন তা দশম শতাব্দীর সময়ের নিদর্শন।
স্থানীয়রা সেখানে কর্মরত প্রত্নতাত্ত্বিকদের জানান, তাঁরা কাছের খালে ওই বুদ্ধ মূর্তির মুণ্ডটি ভেসে যেতে দেখেছিলেন। তবে তা উদ্ধার করা হয়নি। স্থানীয়দের বিশ্বাস যখন তাঁদের চারপাশে খরা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, তখন এই মুণ্ডহীন বুদ্ধ মূর্তিতে মাটি দিয়ে মুণ্ড তৈরি করে বসিয়ে দিলে বৃষ্টি আসবে। কেটে যাবে খরা।
উদ্ধার হওয়া বুদ্ধ মূর্তিটি উচ্চতায় ৪৮ সেন্টিমিটার, চওড়ায় ৩৮ সেন্টিমিটার। ভগবান বুদ্ধের এই মূর্তির কোমরে জড়ানো রয়েছে একটি কাপড়। কাঁধেও ফেলা আছে একটি বস্ত্র। সবটাই পাথর দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
তামিলনাড়ুর পুডুকোট্টাই জেলার আভুদাইয়ারকোভিল এলাকার এই জলাশয়ের আশপাশে আরও কিছু পাওয়া যায় কিনা তার খোঁজ চলছে। ওই এলাকা জুড়েই প্রত্নতাত্ত্বিক খনন চলছে অনেকদিন ধরে।
এই বুদ্ধ মূর্তিটি চোল সাম্রাজ্যের সময়ের বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এই এলাকার কাছ দিয়েই বয়ে গেছে পেরুমাদাই খাল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা