National

লাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে দেশের কয়েকটি সমুদ্রসৈকতে, এ কোন অশনিসংকেত

সমুদ্রের ঢেউ কেমন হয় তা সকলের জানা। কিন্তু সেই ঢেউ যদি বহু দূর পর্যন্ত লাল রং নিয়ে আছড়ে পড়ে তাহলে তো ভীতি ছড়াবেই।

লাল হয়ে গেল সমুদ্রের ঢেউ। তাও কেবল সমুদ্রসৈকত বা বিচের ধারের ঢেউ নয়, বরং অনেক গভীর পর্যন্ত সমুদ্রের ঢেউ লাল হয়ে গেছে। আর সেই লাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে অনর্গল। যা অনেক পর্যটককে আতঙ্কিত করেছে। কিন্তু কেন এই লাল ঢেউ?

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এর কারণ অতিবৃষ্টি। আর সেই অতিবৃষ্টির জেরে নদীগুলির জলস্ফীতি। এবার সারা ভারত জুড়েই অতিবৃষ্টি চলছে। কেরালাও বাদ যায়নি। কেরালার অনেক নদীর জলই ফুঁসছে। তার জন্য সমুদ্রের জল লাল হয়ে যাচ্ছে!

একটু অবাক করা শোনালেও সেটাই হয়েছে। কারণ অতিবৃষ্টির জেরে নদী ফুলে ফেঁপে উঠেছে। সেই অতিরিক্ত জল গিয়ে মিশছে সমুদ্রের সঙ্গে। সমুদ্রের জলের সঙ্গে বর্ষার নদীর জল মিশে যাওয়ায় সমুদ্রের জলে প্রচুর নকটিলুকা সিন্টিলানস নামে প্ল্যাঙ্কটন জন্ম নিয়েছে।


এই নকটিলুকা সিন্টিলানস হয় লাল আভা ছড়ায়, নয়তো সবুজ আভা ছড়ায়। কেরালার সমুদ্রের জলে লাল জীবদ্যুতি প্রকট হয়েছে। ফলে লাল বা উজ্জ্বল কমলা রংয়ের ঢেউয়ে ভরে গেছে সমুদ্রের ধার থেকে সমুদ্রের অনেকটা ভিতর পর্যন্ত।

কেরালার কোয়িলান্ডি, চাভাককাড়, ইড়াকাঝিউর, ফোর্ট কোচি, পুরাক্কড়, পোঝিক্করা সহ নানা সমুদ্রসৈকতে লাল ঢেউ আছড়ে পড়েই চলেছে। স্থানীয়রা অবশ্য এ দৃশ্য আগেও দেখেছেন। কেরালায় এমন ঢেউকে বলা হয় কাভারু।

এই লাল জল মাছ ধরায় সরাসরি কোনও সমস্যা করেনা। তবে অগুন্তি নকটিলুকা সিন্টিলানস জলের সঙ্গে মিশে থাকায় জলে অক্সিজেন কমে যায়। ফলে মাছেরা এই জলে আসতে চায়না।

অক্সিজেন কম থাকায় তারা বাড়তেও পারেনা। ফলে এই লাল হয়ে যাওয়া সমুদ্রের জল এখানকার বাস্তুতন্ত্রের জন্য মোটেও ভাল নয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *